চার দফা দাবিতে বেনাপোল বন্দরে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছিল বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি। কর্মবিরতির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আবার শুরু হয়েছে। চার দফা দাবির মধ্যে ছিল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহার, বন্দরে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহসহ দক্ষ চালক নিয়োগ, বন্দরে পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধি এবং বন্দর এলাকা যানজটমুক্ত রাখা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, দাবি আদায়ের জন্য বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করা হয়েছিল।
কিন্তু আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুÐে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসব কারণে যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন অনুরোধ করেছেন কর্মবিরতি পালন না করতে। সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি চেষ্টা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এ জন্য কর্মবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সমস্যার সমাধান না হলে বাজেট ঘোষণার পর আবার কর্মবিরতি শুরু করা হবে।
আজিম উদ্দিন গাজী আরো জানান, বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু বন্দরে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট না থাকার কারণে পণ্য উঠানো-নামানো চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এসব সরঞ্জামের ব্যবস্থা করার দাবিতে কর্মবিরতি ডাকা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন