বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

রাসুল সা.-এর অবমাননা প্রশ্নে নীরবতা ভাঙতে হবে

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, ইসলামের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি’র মুখপাত্রদের অসম্মান ও কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় দেখা দিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে মুসলমান বিদ্বেষী আস্ফালন ও বিদ্বেষমূলক কর্মকান্ড কোনো নতুন বিষয় নয়। বিজেপি দিল্লীর ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে মুসলিম বিদ্বেষ একটি কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক এজেন্ডায় রূপ নিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় তারা সে দেশের মুসলমানদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়কে মুছে দিয়ে ভারতে একটি একচ্ছত্র হিন্দুত্ববাদী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এটি ভারতের গণতান্ত্রিক সংবিধান ও মাল্টিকালচারালিজমের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সহাবস্থান এবং সম্প্রীতির ঐতিহ্য অগ্রাহ্য করে মুসলমানদের রাজনৈতিক টাগের্টে পরিণত করার নানামুখী পদক্ষেপ ইতোমধ্যে বিশ্বের সামনে বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের উগ্র মুসলিম বিদ্বেষ ভারতে একটি মুসলিম গণহত্যার পূর্বাভাস হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা জেনোসাইড ওয়াচ। বিজেপি ও সংঘ পরিবারের নেতাদের অনবরত হিংসাত্মক বক্তব্য এবং যখন তখন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মুসলমানদের উপর সংঘবদ্ধ হামলা, নিরপরাধ মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করার মতো অসংখ্য ঘটনা থেকে বিজেপি সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী এজেন্ডা স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তরফ থেকে এ সব বিষয়ে কদাচিৎ নিন্দা-প্রতিবাদ জানানো হলেও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান দেশগুলোকে ভারতের মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে খুব একটা দেখা যায়নি। এবার বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালের ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যে এক ব্যতিক্রমী আবহ তৈরি হয়েছে।

শত শত বছরের মুসলিম শাসনের মধ্য দিয়ে আধুনিক ভারতের ভিত্তি গড়ে উঠেছিল। এখন মুসলমানরা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনশক্তি। ভারতের মুসলমানরা একীভূত রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে গড়ে তোলা এবং বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির সংগ্রামেও অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে। বৃটিশদের ডিভাইড এন্ড রুল পলিসির নেপথ্য ক‚টচালে ভারতে হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ ও দাঙ্গার সূত্রপাত হলেও সাতচল্লিশের স্বাধীনতাত্তোর সংবিধান সব নাগরিকের সম অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে। বিজেপি সরকার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ স্পিরিটকে ধ্বংস করে সবার উপর হিন্দুত্ববাদ চাপিয়ে দিতে প্রথমেই নতুন নাগরিকত্ব আইন করে কোটি কোটি মুসলমান ভারতীয়কে রাষ্ট্রহীন অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছে। মুসলিম স্থাপত্য ধ্বংস করা, মসজিদে মন্দিরের অস্তিত্ব খোঁজা এবং মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্যমন্ডিত স্থান ও নামচিহ্নগুলোকে মুছে দেয়ার অপতৎপরতা ভারতের মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। বিজেপির এই রাজনৈতিক এজেন্ডা ভারতকে ভেতর থেকে দুর্বল, অস্থিতিশীল ও ভঙ্গুর করে তুললেও সেখানকার প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ, উদার গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল বা গণমাধ্যমকেও কখনো সোচ্চার ভ‚মিকায় দেখা যায়নি। এবার বিজেপি মুখপাত্রদের রাসুল সা.কে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর বক্তব্যের পর এতদিন নিরব ভ‚মিকা পালনকারী মধ্যপ্রাচ্যসহ অর্ধশতাধিক মুসলিম রাষ্ট্রে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে বিজেপি সরকার নতজানু হওয়ার পর ভারতের সুশীল সমাজের একটি অংশ এবং মিডিয়া কিছুটা যেন নড়েচড়ে বসেছে। মধ্যপ্রাচ্যে ভারতের জনশক্তি রফতানি এবং বাণিজ্যিক স্বার্থ হুমকির সম্মুখীন হলে ভারতের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই ও কাতারের মতো ভারতের মিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার বিজেপির ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেখানকার সাধারণ নাগরিকরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়ার পর ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলতে শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতকে বয়কটের হ্যাশট্যাগ ক্রমেই বিস্তৃতি লাভ করছে।

মূলত ধর্মপ্রাণ মুসলমান নাগরিকদের তীব্র ক্ষোভ ও অব্যাহত চাপের মুখেই ওআইসিসহ মুসলমান দেশগুলো ভারতের বিজেপি সরকারের এহেন ন্যাক্কারজনক ভ‚মিকার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হওয়া সত্তেও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়েও ভারতের পক্ষ থেকে নাক গলানো ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা কারো অজানা নেই। ভারতে বিজেপির সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকান্ড যেমন এ দেশের সাধারণ মানুষকে সংক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত করে তোলে একইভাবে এসব ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের নিরবতাও জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি মুখপাত্রদের পয়গম্বর সংক্রান্ত নিন্দনীয় মন্তব্যের জেরে মোদি সরকার পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইসলামি সংগঠন ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর রোষানলে পড়লেও ব্যতিক্রম শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ।’ আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘রাসুলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নও মুনাফিক তুই রাসুলের দুশমন’। এ দেশের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সমাজে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ইসলামি দলগুলোও লাগাতার প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছে, অথচ, সরকার চুপ। সরকারের এই নিরবতায় মানুষের ক্ষোভ বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহদ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে অবশ্যই উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। ইতোমধ্যে কথিত আল কায়েদার তরফ থেকে ভারত ও বাংলাদেশে হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। জনগণের সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে কোনো নেপথ্য শক্তি দেশকে যেন উগ্রবাদের হুমকির মুখে ঠেলে দিতে না পারে সেদিক বিবেচনা করেও সরকারকে জনগণের ভাবাবেগের মূল্য দিতে হবে। ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া বা প্রতিবাদের ইতিবাচক দিক অবশ্যই প্রণীধানযোগ্য। ভারতের জন্যও সেটা উপকারী হতে পারে, তার নেতাদের সচেতনতা জাগাতে পারে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজকে বুঝতে হবে মুসলমানদের কোণঠাসা করে কিংবা তাদের রাসুল সা.-এর প্রতি কটূক্তি করে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও মানবিক ভারত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
আবুল ১০ জুন, ২০২২, ২:০২ এএম says : 0
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, ইসলামের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি’র মুখপাত্রদের অসম্মান ও কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়। অথচ আমাদের সরকার নিরব। আমরা এ ব্যাপারো কোনো আপস করতে চায় না। কারণ তারা আমদের অন্তরে আঘাত করেছে।
Total Reply(0)
আবুল ১০ জুন, ২০২২, ২:০৩ এএম says : 0
মুসলমানদের কোণঠাসা করে কিংবা রাসুল সা.-এর প্রতি কটূক্তি করে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও মানবিক ভারত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বরং আরো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হবে
Total Reply(0)
বাবর ১০ জুন, ২০২২, ২:০৫ এএম says : 0
রাসুল সা.-এর অবমাননা প্রশ্নে কোনো আপস নয়। বরং এ ব্যাপারে আপস করলে মুসলিম থাকার কোনো ইখতিয়ার নেই
Total Reply(0)
বাবর ১০ জুন, ২০২২, ২:০৫ এএম says : 0
‘রাসুলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নও মুনাফিক তুই রাসুলের দুশমন’।
Total Reply(0)
বাবর ১০ জুন, ২০২২, ২:০৭ এএম says : 0
ইসলামি দলগুলোও লাগাতার প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে যাচ্ছে, অথচ, সরকার চুপ। সরকারের এই নিরবতায় মানুষের ক্ষোভ বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে অবশ্যই উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
Total Reply(1)
Jack Ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৫৩ এএম says : 0
আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে যে মানুষ এবং জিনকে আল্লাহ খেলতাম আসার জন্য সৃষ্টি করেন নাই পৃথিবীর মধ্যে মহান ব্যক্তি হচ্ছে আমাদের নবী সাঃ আমাদের জীবন থেকে তাকে বেশি ভালবাসতে হবে কেউ অপমান করলে কোন সরকারের অনুমতি লাগে না তাকে এ দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে এটাই হচ্ছে আল্লাহর নিয়ম আর আপনি বলছেন কথিত আল-কায়েদা আপনি তো মনে হয় মুসলিম না
বাবর ১০ জুন, ২০২২, ২:০৮ এএম says : 0
ইতোমধ্যে কথিত আল কায়েদার তরফ থেকে ভারত ও বাংলাদেশে হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। জনগণের সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে কোনো নেপথ্য শক্তি দেশকে যেন উগ্রবাদের হুমকির মুখে ঠেলে দিতে না পারে সেদিক বিবেচনা করেও সরকারকে জনগণের ভাবাবেগের মূল্য দিতে হবে।
Total Reply(0)
jack ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৪২ এএম says : 0
মহানবী (সা.)-এর জীবনী পড়ে ইহুদি তরুণীর ইসলাম গ্রহণ একটি মার্কিন ইহুদি পরিবারে জন্ম মিশেলের। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা ধর্মান্তরিত হলে তিনিও খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু খ্রিস্টধর্মে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে না পাওয়ায় ইহুদি ধর্মে ফিরতে চান। পরিশেষে ইহুদি ধর্মও তাঁকে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মহানবী (সা.)-এর জীবন-ইতিহাস ও পবিত্র কোরআন তাঁকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ব করে। তাঁর ভাষায়— আমি নিউ ইয়র্কের একটি ইহুদি পরিবার থেকে এসেছি। আমার মা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তবে তিনি ইহুদি ছিলেন। তিনি কাউকে ইহুদি পরিচয় দিতে স্বস্তিবোধ করতেন না। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি একজন ক্যাথলিককে বিয়ে করেন এবং খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। তিনি আমাদেরও খ্রিস্টান হিসেবে গড়ে তোলেন। কিন্তু পাঁচ বছর বয়স থেকে আমি বলতাম, যিশুখ্রিস্টও একজন উপাস্য? আমি এই বিশ্বাসে কখনো স্বস্তিবোধ করতাম না। আমরা সৎ বাবার দেশ ফিলিপাইনে যাই। সেখানে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সৎ বাবা ধীরে ধীরে আমার প্রতি এবং আমার দুই ভাইয়ের প্রতি নিপীড়ক হয়ে ওঠে। কঠিন জীবনযাত্রার প্রভাবে আমার ভাষাগত দুর্বলতা থেকে যায়, আমার এক ভাই মদ্যপ হয়ে ওঠে এবং অন্যজন হীনম্মন্যতার শিকার হয়। যখন আমি বড় হলাম এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এলাম, তখন আমি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমি কঠোর পরিশ্রমে মনোযোগী হলাম। স্রষ্টার জন্য আমার জীবনে কোনো সময় ছিল না, অতীতেও কখনো ছিল না। আমি অনুভব করতাম না যে স্রষ্টা আমাকে কোনোভাবে সাহায্য করছেন। আমি আমার শেকড়ে ফেরার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ইহুদি ধর্ম আমার মনে কোনো আবেদন সৃষ্টি করতে পারল না। তাই চেষ্টা ছেড়ে দিলাম। বিভিন্ন সময় মুসলিমদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার মনে প্রশ্ন জাগে, তারা এমন পোশাক পরিধান করে কেন এবং তারা অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে থাকে কেন? ইসলামবিষয়ক প্রশ্নগুলো আমার মনে বারবার ফিরে আসতে থাকে, ধর্মটি সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করি। আমি মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও ইতিহাস পাঠ করি। তাঁর জীবন থেকে আমি দয়া, উদারতা এবং কঠিন সময়ে ধৈর্যধারণের শিক্ষা লাভ করি। নিজের কাছে নিজের জীবনকে দিকহীন ও দিশাহারা মনে হয়। সুতরাং আমি আরো বেশি পড়তে শুরু করি। সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর মনে হলো আমি ঘরে ফিরেছি। এত দিন আমি এখানেই আসতে চেয়েছিলাম। আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম। আলহামদুলিল্লাহ! এরপর আর কখনো ইসলামবিমুখ হইনি, একত্ববাদের বিশ্বাস থেকে কখনো সরে আসিনি। মুসলিম হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু ইসলাম আমাকে ধৈর্যধারণে সাহায্য করে। দুঃখ-ব্যথার সময় আমরা শুধু আল্লাহর কাছে যেতে পারি। ইসলামই চূড়ান্ত সত্য ও পূর্ণাঙ্গ জীবনধারা। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষ জাতির প্রতি প্রেরিত শেষ সত্য এবং শেষ সুযোগ। আমি আশা করি, একদিন পৃথিবীর মানুষ ইসলাম সত্যতা ও সৌন্দর্য, শান্তি ও শৃঙ্খলা সম্পর্কে জানতে পারবে। স্টোরিজ অব নিউ মুসলিমস গ্রন্থ অবলম্বনে
Total Reply(0)
jack ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৩৯ এএম says : 0
Our country is rulted by indian kafir stooge as such they hate islam and muslim as a result the stooge didn't protest against Indian lord regarding Insulting the best man ever walked on earth. May Allah's cure upon them. Ameen
Total Reply(0)
jack ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৪৪ এএম says : 0
SEVERE CONSEQUENCE OF INSULTING OUR BELOVED PROPHET [SAW] নবী-রাসুলগণ মানবজাতির মহান শিক্ষক। মানবসভ্যতার সূচনা থেকে তার উন্নয়ন ও বিকাশে তাঁদের অবদান অসামান্য। পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আমি আপনার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি। ’ (সুরা : ইনশিরাহ, আয়াত : ৪) তবে মুসলিমরা শুধু মুহাম্মদ (সা.)-কে সম্মানের চোখে দেখে না, বরং সব নবী-রাসুলের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় তারা দৃঢ়প্রত্যয়ী। বিজ্ঞাপন মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সবাই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং রাসুলদের ওপর ঈমান এনেছে। তারা বলে আমরা তাঁর রাসুলদের মধ্যে তারতম্য করি না। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৫) নবী-রাসুলগণ সমালোচনার ঊর্ধ্বে : ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি (রহ.) তাঁর ‘ইসমাতুল আম্বিয়া’ গ্রন্থের ভূমিকায় নবী-রাসুল (আ.)-এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি এবং তাঁদের জীবনের সার্বিক পূতপবিত্রতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি যা বলেছেন তার সারকথা হলো, নবী-রাসুল (আ.) ছিলেন ত্রুটি ও বিচ্যুতি থেকে মুক্ত। তাঁদের চরিত্র ও আল্লাহভীতির ব্যাপারে সন্দেহ করার অবকাশ নেই। কেননা আল্লাহ তাঁর কুদরত ও ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁদের সব ধরনের ত্রুটি ও মানবিক দুর্বলতার ঊর্ধ্বে রেখেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মন্দ বৈশিষ্ট্য, পাপ ও অপরাধের অভিযোগ অপবাদ ও মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। আল্লাহ যেমনটি বলেছেন, ‘তাদের মুখ থেকে যে বাক্য বের হয় তা কতই না জঘন্য। তারা তো কেবল মিথ্যাই বলে। ’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৫) নবীদের সম্মান কেন রক্ষা করতে হবে : শরিয়তের মূলনীতি অনুযায়ী আল্লাহর প্রেরিত সব নবী ও রাসুল (আ.) সব ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত। সুতরাং তাঁরা সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুসলিম গবেষকরা যেসব যুক্তি উপস্থাপন করেন তা হলো— ১. আল্লাহকে দোষারোপ করা হয় : নবী-রাসুল (আ.) আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ও প্রেরিত। সুতরাং তাঁদের সমালোচনা ও দোষত্রুটি চর্চা করা এবং তাঁদের অসম্মান করা আল্লাহর নির্বাচন ও মনোনয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং তার দায়ভারও আল্লাহর ওপর আরোপ করা হয়। (নাউজুবিল্লাহ) অথচ আল্লাহ সব ধরনের ভুলত্রুটি ও দুর্বলতার ঊর্ধ্বে। ২. আল্লাহ কর্তৃক পরিচালিত : নবী ও রাসুলগণের সমগ্র জীবন সরাসরি আল্লাহ কর্তৃক পরিচালিত এবং তাঁর বরকতে ধন্য। ঈসা (আ.) সম্পর্কে বর্ণিত দুটি আয়াতে সে ইঙ্গিত লাভ করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। ’ (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ৩১) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মলাভ করেছি, যেদিন আমি মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হব। ’ (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ৩৩) ৩. নবী-রাসুলগণ নিজ থেকে কিছু বলেন না : আল্লাহর প্রেরিত পুরুষরা দ্বিন প্রচারের ব্যাপারে নিজ থেকে কিছুই বলেন না; বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু বলা হয় তাঁরা তা-ই প্রচার করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপদগ্রস্তও নয় এবং সে মনগড়া কথাও বলে না। এটা তো ওহি, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। ’ (সুরা : নাজম, আয়াত : ২-৪) ৪. শয়তান ও প্রবৃত্তির প্রভাবমুক্ত : আল্লাহর মনোনীত পুরুষরা শয়তানের ধোঁকা ও কুপ্রবৃত্তির প্রভাবমুক্ত ছিলেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইবলিস) বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যেমন আমাকে বিপথগামী করলেন তজ্জন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের কাছে পাপকাজকে শোভন করে তুলব এবং আমি তাদের সবাইকে বিপথগামী করব। তবে আপনার নির্বাচিত বান্দারা ছাড়া। ’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০) হাদিসে এসেছে, জিন তথা শয়তানের ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিজয়ী করা হয়েছে। ৫. মানবজাতির জন্য অবদান : পবিত্র কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী প্রথম নবী আদম (আ.)-এর মাধ্যমে মানবসভ্যতার সূচনা হয় এবং যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ সভ্যতার বিকাশে মানবজাতির নেতৃত্ব দেন। তাঁরা শুধু মানুষকে ধর্মীয় জীবন শেখাননি; বরং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও পার্থিব জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁদের দায়িত্ব ও অবদান সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই উম্মিদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে যে তাদের কাছে পাঠ করে তাঁর আয়াতগুলো, তাদের পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাহ (প্রজ্ঞা)। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে। ’ (সুরা : জুমা, আয়াত : ২) অসম্মানকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি : পবিত্র কোরআনের একাধিক স্থানে নবী ও রাসুলগণের সমালোচনা ও বিদ্রুপকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিয়ে বিদ্রুপকারীদের হুঁশিয়ার করে আল্লাহ বলেন, ‘বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে আমি আপনার জন্য যথেষ্ট। ’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯৫) অন্যত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীর প্রতি আল্লাহর অভিশাপের কথা বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই নির্বংশ। ’ (সুরা : কাউসার, আয়াত : ৩) অসম্মানকারীদের শাস্তি : শরিয়তে নবী-রাসুলগণের সমালোচনা ও সম্মানহানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো ব্যক্তি নবী-রাসুলগণের সমালোচনার লক্ষ্যে পরিণত করলে ইসলামী দণ্ডবিধি মতে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে আম্বিয়া (আ.) আল্লাহর দ্বিন প্রচার ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিষ্পাপ। তাঁদের আনীত বিধানের ওপর ঈমান আনা ওয়াজিব। ... এ জন্য ইসলামী আইনজ্ঞরা একমত যে, কেউ নবীদের গালি দিলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। তবে অন্যদের গালি দিলে তা দেওয়া হবে না। ’ (মাসায়েলে মানসুরা, পৃষ্ঠা ২৫৬) তবে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেবে ইসলামী রাষ্ট্রের আদালত এবং তা বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্র বা তার প্রতিনিধি। ব্যক্তি ও সমাজ তা নির্ধারণ বা বাস্তবায়ন করবে না। যেখানে ইসলামী আইন বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত নয়, মুসলিম উম্মাহ নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করবে। মুমিনরা নবী-রাসুল ও দ্বিনের সমালোচনা ও বিদ্রুপকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বর্জন করবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিশ্বাসী ও কিতাবধারীদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বিনকে ক্রিয়া-কৌতুকের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে তাদের তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না। আল্লাহকে ভয় করো যদি তোমরা মুমিন হও। ’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৭) অসম্মানকারীদের ঠিকানা জাহান্নাম : যারা পৃথিবীতে নবী-রাসুলগণের অসম্মান করবে এবং তাঁদের সমালোচনা ও বিদ্রুপের পাত্র বানাবে পরকালে তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জাহান্নাম—এটাই তাদের প্রতিফল, যেহেতু তারা কুফরি করেছে এবং আমার নিদর্শনাবলি ও রাসুলদের গ্রহণ করেছে বিদ্রুপের বিষয়স্বরূপ। ’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ১০৬)
Total Reply(0)
jack ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৪৭ এএম says : 0
মহানবী (সা.)-এর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সততা, আন্তরিকতা আর আদর্শ দেখে যুগে যুগে বহু মনীষী অভিভূত হয়েছেন। নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে অভ্যস্ত কারো পক্ষে তাঁর অতুল ব্যক্তিত্বের অনন্য প্রভাব, মহোত্তম মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠ গুণাবলির কথা স্বীকার না করার কোনো উপায় নেই। কারণ, মানব সভ্যতার সবচেয়ে সমৃদ্ধ পর্যায়গুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবী (সা.)-এর অতুলনীয় মহত্ত্ব ও গুণের ছাপ স্পষ্ট। মহানবী (সা.)-এর আদর্শ সম্পর্কে অমুসলিম পণ্ডিতদের কিছু মূল্যায়ন— Michael H. Hart তাঁর লিখিত বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ The 100 : A Ranking of the Most Influential Persons In History-তে লিখেছেন, ‘মুহাম্মদ (সা.)-কে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেওয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেক্যুলার এবং ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবত ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিস্টান ধর্মের ওপর যিশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়েও বেশি। আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেক্যুলার উভয় ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয় যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত করেছে।’
Total Reply(0)
jack ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৪৮ এএম says : 0
আধুনিক ভারতের জনক Mahatma Gandhi বলেন, ‘আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম, যিনি আজ কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান নিয়ে আছেন। যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি বেশি নিশ্চিত যে ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সেই সব দিনগুলোতে মানুষের জীবনধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস। এ সবই মুসলমানদের সকল বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’ পরিশেষে বলব, এমন নবীর উম্মত হতে পেরে আমরা প্রত্যেকেই ধন্য। কারণ এই নবীর উম্মত হওয়ার জন্য যুগে যুগে বহু নবী-রাসুল পর্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। মহান আল্লাহ আমাদের মহানবী (সা.)-এর দেখানো পথ ও মতে জীবন চালানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
Total Reply(0)
jack ali ১০ জুন, ২০২২, ১০:৪৯ এএম says : 0
মি. ইরভিং তাঁর আলোচ্য গ্রন্থের ১৯২ ও ১৯৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলি ছিল নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর ও অতিমানবীয়। তাঁর ছিল দ্রুত উপলব্ধি করার সক্ষমতা, তেজস্বী স্মৃতিশক্তি, এক জীবন্ত ও প্রাণবন্ত কল্পনাশক্তি আর সৃজনশীল জেনিয়াস...।’ এরপর ১৯৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘সামরিক বিজয়গুলো কখনোই তাঁর মনে কোনো গর্ব কিংবা দম্ভের জন্ম দেয়নি। তিনি বাস্তবে নিজের স্বার্থে এ অভিযানগুলো করতেন না। চরম দুঃখ আর দারিদ্র্যের মাঝে তাঁর চরিত্রে যেমন সারল্যের প্রলেপ স্পষ্ট অনুভূত হতো, তেমনি যখন তিনি বিজয়ের সিঁড়ির সর্বোচ্চ সোপানে দাঁড়িয়েছিলেন; তখনো তাঁর চরিত্র ছিল এক ও অভিন্ন...।’ বহু গ্রন্থের প্রণেতা Mr James A. michener ‘দ্য রিডার্স ডাইজেস্ট’ পত্রিকার জুন ১৯৫৫ সংখ্যার ৭৯ পৃষ্ঠায় Islam the misunderstood Religion নামক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘ইসলাম যেভাবে অতি দ্রুতগতিতে গোটা বিশ্বে বিস্তৃতি লাভ করেছিল, সেভাবে অন্য কোনো ধর্ম বিস্তৃতি লাভ করতে পারেনি। মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায়ই ইসলাম আরবের একটি বৃহত্তম অংশে কর্তৃত্ব লাভ করেছিল। পরবর্তী সময়ে অতি দ্রুতই তা সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিসর, আধুনিক রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ভূখণ্ডগুলোসহ উত্তর আফ্রিকার মধ্য দিয়ে স্পেনের প্রাচীর পর্যন্ত বিজয়াভিযান চালিয়েছিল। এর সবই সম্ভব হয়েছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বোত্তম স্বভাব ও অতিমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে।’
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন