বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মীরসরাইয়ে মহিষের চারণভূমি রক্ষায় খামারিদের বিক্ষোভ

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

মীরসরাইয়ের চরাঞ্চলের জমি অধিগ্রহণের কারণে মহিষসহ গবাদি পশুর চারণভূমির রক্ষার দাবিতে ও খামারিদের বিরুদ্ধে উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তাদের জরিমানা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন খামারিরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খামারীরা প্রায় ৫ হাজার মহিষ ও গবাদি পশু নিয়ে মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) অফিসের সামনে বিক্ষোভ পালন করেন।
এসময় খামারিদের দাবির সাথে একমত হয়ে সমস্যা সমাধানে কথা বলেন, মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান, ইছাখালী ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা। উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই সার্কেলের এএসপি লাবীব আব্দুল্লাহ, জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন মামুন, বেজা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
জানা গেছে, মীরসরাইয়ের ইছাখালীর চরাঞ্চলের ৩০ হাজার একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। অর্থনৈতিক অঞ্চলের চরাঞ্চলের জমি অধিগ্রহণের কারণে চরমভাবে হুমকির মুখে পড়েছে ১০ হাজার মহিষের চারণভূমি। ফলে বিপাকে পড়ে আয়ের একমাত্র উৎস মহিষ, গরু, ভেড়া পালনকারী ৫০০ খামারি। এছাড়াও সাগর উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ইছাখালী স্লুইসগেটের শেষ মাথায় জেগে উঠা চরে মহিষ প্রবেশ করে উপকূলীয় বাগানের গাছ নষ্ট করার অজুহাতে একাধিক খামারীকে জরিমানার টাকা আদায় করার অভিযোগ করেছে মহিষ পালনকারী খামারীরা।
স্থানীয় খামারী মো. ইউসুফ জানান, ইকোনমিক জোন হওয়ার কারণে গরু-মহিষের চারণভূমি কমে যাওয়ায় পশু পালনে বিপাকে পড়েছি। তার উপর সাগর উপকূলীয় বনাঞ্চলে গাছ না থাকলেও মহিষ প্রবেশের অজুহাতে শতাধিক খামারী থেকে ৩-৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে উপকূলীয় বন বিভাগ।
আরেক খামারী নুর হোসেন জানান, অধিগ্রহণকৃত জমির বাইরেও প্রায় ১ হাজার একরের মতো জায়গায় চর জেগেছে। সেখানে খামারীদের গরু, মহিষ, ভেড়াসহ প্রায় ২০ হাজার গবাদী পশুর চারণভূমি হিসেবে উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা জানান, চর জাগলে ভাঙনরোধী গাছের চারা রোপন করে উপকূলীয় অঞ্চলে সুপার ডাইক রক্ষা হয়। জরিমানার বিষয়ে খামারীদের অভিযোগ সত্য নয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, আমাদের শিল্পাঞ্চলও প্রয়োজন আবার আমিষেরও প্রয়োজন। এছাড়া গবাদী পশুর পালনকারীরাও বাঁচতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের তালিকা করার জন্য বলেছি। এই সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে গরু মহিষের দুধ ও মাংসের যোগান অনেকাংশে এখান থেকে সরবরাহ হয়। এই গরীব মানুষদের সমস্যার কথা উপজেলা সমন্বয় সভায় সংসদ সদস্যকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন