মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

আগুনে সাবধানতা

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ১২:০৫ এএম

আগুন দ্রুত প্রজ্জ্বলনশীল পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়াবিশেষ। এটি তাপোৎপাদী, দহন বিক্রিয়ায় পদার্থের দ্রুত জারণ প্রক্রিয়া। এতে উত্তাপ, আলোসহ বহুবিধ রাসায়নিক উৎপাদ সৃষ্টি হয়। আগুন গরম, কারণ আণবিক অক্সিজেনের দুর্বল দ্বি-বন্ধন, দহন বিক্রিয়ার উৎপাদ কার্বন ডাই অক্সাইড ও পানির দৃঢ় বন্ধনে রূপান্তরের সময় শক্তি উৎপাদন করে; জ্বালানির বন্ধন শক্তি এখানে খুব সামান্যই ভূমিকা পালন করে। দহন বিক্রিয়ার একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বা জ্বলনাঙ্কে পৌঁছালে অগ্নিশিখা উৎপন্ন হয়। অগ্নিশিখা মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন নিয়ে গঠিত। যথেষ্ট উত্তপ্ত হলে, গ্যাস আয়নিত হয়ে প্লাজমা উৎপাদন করতে পারে। প্রজ্জ্বলিত পদার্থের উপাদান এবং অপদ্রব্যের উপস্থিতির ভিত্তিতে শিখার রং এবং আগুনের তীব্রতা ভিন্ন হয়। আগুনকে তিনটি পৃথক উপায়ে নির্বাপণ করা সম্ভব। যদি আগুনকে তার সাহায্যকারী জ্বালানি এবং অপরাপর জ্বালানিকে দূরে রাখা যায়, তাহলে আগুন জ্বলবে না। এই পদ্ধতিকে বলা হয় স্টারভেশন। অক্সিজেন প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগুন নিভানো সম্ভব, যা শ্বাসরোধকারী আগুন বা স্মুদারিং নামে পরিচিত। আগুন খালি জায়গায় জ্বলতে পারে না অথবা এটি কার্বন ডাইঅক্সাইড দ্বারা আবৃত থাকাবস্থায় জ্বলে না। তাপ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখার মাধ্যমে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সবচেয়ে প্রধান ও সাধারণ উপায় হচ্ছে পানি ব্যবহার করা, যা আগুনকে বিস্তৃত ঘটাতে সাহায্য করে না। এই পদ্ধতিকে বলা হয় কুলিং। কিন্তু ম্যাগনেসিয়ামজনিত শিখার সাহায্যে সৃষ্ট কিছু আগুনের সর্বাগ্রাসী বিচ্ছুরণকে আটকানো যায় না। এটি কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন এবং অন্যান্য অগ্নিনিবারক সহায়ক যৌগকেও পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম।

দেবব্রত দেব নাথ
শিক্ষার্থী, জয়নাল হাজারী কলেজ, ফেনী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন