মাদারীপুর শহরে গ্রাম্য দলাদলি ও বিরোধকে কেন্দ্র করে লিটন তাইয়ানি (৪৮) নামের এক মামাকে খুন করার অভিযোগে নাসির বেপারী নামের ভাগ্নেকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন একটি আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এই আদেন প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সিদ্দিকুর রহমান সিং।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নিহত লিটন তাইয়ানি তার ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য মাদারীপুর সদরের চর কুলপদ্বির বাড়ি থেকে চৌধুরী ক্লিনিকে আসার পথে উপজেলা পরিষদের মেইন রাস্তায় আসা মাত্র একই এলাকার জাহের বেপারীর ছেলে মজনু বেপারী (৬৫) ও মান্নান বেপারী (৫৫), মন্নান বেপারীর ছেলে সজীব বেপারী (৩৩), জব্বার মীরার ছেলে ইব্রাহিম মীরা (৩০), সোবাহান মীরার ছেলে হাবুল মীরা (৩৩), কালাম মীরার ছেলে ফারুক মীরা (৩৪), কাদের বেপারীর ছেলে নাসির বেপারী (৩৮) ও সুমন বেপারী (৩৫) ও এসকান্দার খানের ছেলে সোহেল খান (৩৫) পাঁচটি মোটরসাইকেল যোগে এসে স্থানীয় দলাদলি ও বিরোধকে কেন্দ্র করে লিটন তাইয়ানিকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে এই ঘটনায় লিটন তাইয়ানির ভাই মিজান তাইয়ানি বাদী হয়ে পরের দিন ৩ এপ্রিল ৯ জনকে আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ৬ জুলাই মামলার আসামী নাসির বেপারী ও সুমন বেপারীকে অভিযুক্ত এবং বাকী ৭ জন আসামীকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করে চার্জশীট প্রদান করেন। পরে মামলার বাদী মিজান তাইয়ানি এই চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে আদালত সকলকে আসামী অন্তভূক্ত করে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ দেন।
মাদারীপুর আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘মাদারীপুরের চরকুলপদ্বী গ্রামের স্থানীয় দলাদলি ও বিরোধের জেরে লিটন তাইয়ানিকে হত্যার ঘটনায় গত ১১ বছর ধরে মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এই মামলায় নিহত লিটন তাইয়ানির ভাগ্নে নাসির তাইয়ানিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে বাকী ৮ জন আসামীকে খালাস প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন