আড়াইহাজার উপজেলায় এক গ্রামে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দু’টি গ্রুপের অস্ত্রের মহড়ায় পুরো এলাকায় আতংক বিরাজ করছে । মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে ওস্তাদ সোহেল গ্রুপ সাগরেদ আলী গ্রুপ দু’দলে ভাগ হয়ে একে অপরকে ঘায়েল করতে টেঁটা, বল্লম, রাম দা, যুইত্তাসহ নানা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতেকরে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ দেখেই উভয় পক্ষ পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন আলী হোসেন নবনির্বাচিত মেম্বার সোহেল এর ফেন্সিডিলের কারবার সামলাতো। কমিশন নিয়ে গন্ডগোল হওয়ায় আলী নিজেই মাদকের কারবার শুরু করে। মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে বর্তমানে দু’গ্রুপ মুখোমুখি। বালিয়াপাড়ার পাশের গ্রামে উৎরাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসে মাদকের হাট। বিকেল থেকে মাদক বিক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে জমে উঠে বেচাকেনা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনেই নেশার আড্ডাস্থল। আশপাশের গ্রাম ও দূর-দুরান্ত থেকে মাদকসেবীরা ভিড় জমায় এই হাটে। বিদ্যালয়ের বারান্দা, চিপাচাপায় তিল ধারনের ঠাঁই থাকে না। রাত্রি বেলায় মনে হবে বোধ হয় বয়স্কদের নৈশস্কুল চলছে। আসলে তা নয়। নেশাখোররা শ্রেনীকক্ষের বাইরে কেউ গাঁজা টানে, কেউ ইয়াবা সেবন করে ঝিম মেরে বসে থাকে। কেউবা ফেন্সিডিলের ভাগাভাগি নিয়ে খিস্তি খেউর দিচ্ছে।
উৎরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক রোমানা জামান, তার স্কুলে মাদক বিক্রির বন্ধের জন্য গত ২৪ এপ্রিল তারিখেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। এতে কোন কাজ হয়নি।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোঃ আজিজুল হক হাওলাদার ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী তার কাছে ছুটে আসে। গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে ওসি জানান, বালিয়াপাড়া ও পাশের গ্রাম উৎরাপুরা প্রাইমারী স্কুলের মাদকের আস্তানা থাকবে না। মাদকের শেকড় উপরে ফেলবো। এই সময় ওসির সাথে কয়েকশ গ্রাম বাসী গিয়ে মাদকের আস্তানা বন্ধ করে দেন। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন