সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বিসিক উপব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পঞ্চগড়ে ঋণ জালিয়াতি

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঋণ জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) পঞ্চগড়ের উপ-ব্যবস্থাপক শাহ্ মোহাম্মদ জোনায়েদ বিরুদ্ধে। তিনি সুকৌশলে একাধকি গ্রাহকের নামে ঋণ বিতরণ দেখিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। শুধু তাই নয় অনেক ঋণ গ্রহীতা জানেননা তার নামে ঋণ হয়েছে। আবার নিজেই জিম্মাদার হয়েছেন অনেক ঋণ গ্রহীতার। ঋণ পাশের নামে নেয়া হয়েছে উৎকোচ। তবে ব্যবস্থাপকের দাবি নিয়ম মেনে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
টাকা আত্মসাতের বিষয়ে গত সোমবার পুলিশ সুপার বরাবর বাহারাম আলী ও মজিবুল ইসলাম পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ করেন বিসিকের উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ , শিল্প কর্মকর্তা মেরাজুল ইসলাম ও আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে। জানা যায়,বাহারাম আলীর নামে ৫ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন হলে বিবাদীরা তার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দিয়ে চেকের পাতায় স্বাক্ষর করে নেন। পরে এনআরবিসি ব্যাংক দেবীগঞ্জ শাখা থেকে অনুমোদিত টাকা উত্তোলন করে নেয় তারা। এখন টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এদিকে মজিবুল ও তার স্ত্রী নুরমা বেগমের নামে ঋণের জন্য আবেদন করে। মজিবুলের নামে অনুমোদিত ঋণ ৫ লাখ টাকা বুঝে পায়। কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রী নুরমা বেগমের নামে ৫ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন হলে তার নামীয় ইসলামি ব্যাংক দেবীগঞ্জ শাখা, চেকের পাতায় স্বাক্ষর করে নেয় বিবাদীরা। পরে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে। এমন কি ঋণ অনুমোদনের জন্য ৩২ হাজার টাকা নিয়েছেন বিবাদীরা। অফিস সূত্রে জানা যায়,করোনাকালীন সময়ের পর সংকট কেটে উঠতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীদের জন্য বিসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে এক কোটি ২১ লাখ ও প্রণোদনা ঋণের আওতায় ৪%সুদে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) পঞ্চগড় উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছিটমহলের খারিজা ভাজনি ভাওলাপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক,উপ-ব্যবস্থাপকের পূর্ব পরিচিত ও দূরসম্পর্কের আত্মীয় হওয়ায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মালেকের স্ত্রী শিউলী বেগম ৫ লাখ,ভাই আহিনুর ৫ লাখ,আশিকুর রহমান ৪ লাখ,ভাইয়ের বউ আফরিন নাহার আরিফা ৫ লাখ,শ্যালক সাজ্জাত হোসেন ৫ লাখ,রশিদুল চাচাত ভাই ৩ লাখ, রেজাউল মামাত ভাই ৫ লাখ এভাবেই মালেকের ২০ জনেরও অধিক আত্মীয় স্বজনের নামে ঋণ দিয়েছেন, যা কেউ রয়েছে জেলার বাইরে কেউ কিনেছেন ওই ঋণের টাকায় শহরে জমি। এতে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কোনটিও সফল হচ্ছে না।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ওকড়াবাড়ি এলাকার আব্দুল কাদের তার ছেলে মোফাজ্জল ও মিজানুরের নামে ঋণের আবেদন করেছেন ৫ লাখ। কিন্তু ঋণ পেয়েছেন মোফাজ্জল ৩ লাখ টাকা। মিজানুরের নামে ২ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন হলেও কোন টাকা পাননি তিনি। তবে কৌশলে আগেই চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়েছিলেন উপ ব্যবস্থাপক। একই এলাকার শাহানাজ বেগম নামে ৫ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন হয়েছে, কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কিছুই নেয়নি জোনায়েদ স্যার, জানান শাহানাজের স্বামী ফজলু। স্যার নিজেই জিম্মাদার হয়েছেন, তিনিই কিস্তি পরিশোধ করছেন। অভিযুক্ত বিসিক পঞ্চগড়ের উপ ব্যবস্থাপক শাহ্ মোহাম্মদ জোনায়েদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,নিয়ম মেনে ঋন বিতরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন