বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে বন্ধুর প্রেমিকার। সেই খবর পেয়ে বন্ধুর পরামর্শে পাঁচজন একসঙ্গে গিয়েছিলেন রাতের বেলা মেয়ের বাড়িতে তাকে তুলে আনার জন্য। কিন্তু মেয়ের বাড়ির লোকজনের মারধরে গুরুতর জখম হয়ে অবশেষে প্রাণ দিতে হলো রাসেল নামে এক যুবকের।
এ ঘটনায় আহত হয়ে প্রেমিক মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার ও তার ওপর বন্ধু রাজু আহমেদ বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রাসেল মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তিন নম্বর শ্রীকোল ইউনিয়নের বরিশাট গ্রামের দলিল শেখের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে নিহত রাসেলের বন্ধু মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ছোনগাছা গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত মঙ্গলবার মেয়েটি তার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর দেয় তার অভিভাবক তাকে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এ খবর জানার পরে আমরা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে পাঁচ বন্ধু দুই মোটরসাইকেলে মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে দেখা করার জন্য। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের বাড়ির ও আশেপাশের লোকজন লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের মারপিট করে। এতে আমিসহ মোট তিনজন গুরুতর আহত হই। পরে কোনোভাবে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে আসি। প্রথমে আমাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাসেলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার বিষয়ে মেয়েটির বাবা দিদার মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মঞ্জুরুল আমার মেয়েকে ইভটিজিং করছিল। স্কুলে যাওয়ার সময় সে প্রায়ই আমার মেয়ের গতিরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এজন্য বেশ কিছুদিন তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছিল। আমরা গরিব মানুষ, মান সম্মান বাঁচাতে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। একথা কোনোভাবে জানতে পেরে মঞ্জুরুল সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় রাতের বেলায় কে বা কারা তাদের মেরেছে সেটা আমরা বলতে পারব না।
শ্রীপুর থানার ওসি লিটন সরকার জানান, প্রেমঘটিত বিষয়ে মারামারির কারণে একজনের মৃত্যুর খবর আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন