শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্বামীর পরিবার বলছে আত্মহত্যা মেয়ের পরিবার বলছে পরিকল্পিত হত্যা

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২২, ৭:২৩ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় স্বামীর পরিবারের লোকজন বলছে সাদিয়া আত্মহত্যা করেছে আর সাদিয়ার পরিবারের লোকজন বলছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার সুজন মিয়ার ছেলে খালিদ হাসান টিটু(২৩) এর সাথে প্রায় ৮মাস পূর্বে একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে সাদিয়া আফরোজা (১৯) প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বেশ কিছুদিন দু'জনের সংসার জীবন ভালোই চলে আসছিল। সংসারের পাশাপাশি সাদিয়া আফরোজা ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করতে থাকে। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ কিনে বাসায় আসে। আর এদিকে প্রতিদিনের নেয় স্বামী টিটু ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারে একটি ওয়ালটন শো-রুমে কাজ করতে যায়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়ার জন্য স্বামী টিটু দোকান থেকে বাসায় এসে দেখে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে অনেক্ষণ ডাকাডাকি করে সারা না পেয়ে অন্য দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁছানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানে ঝুলছে স্ত্রী সাদিয়া আফরোজা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী খালিদ হাসান টিটু।

তবে হত্যাকাণ্ডটি নিহতের স্বামীই ঘটিয়েছে বলে দাবী করছেন নিহতের পিতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি বলেন, আমার মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার মেয়ের খুনির ফাঁসি চাই'।

নিহত সাদিয়া আফরোজার শাশুড়ি হোসনেআরা বলেন, আমি শারীরিক অসুস্থতায় গত বুধবার থেকে আমি হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়েছি আমার পুত্রবধূ আত্মহত্যা করেছে। আমি তাঁকে মেয়ের মতো লালন করেছি। জানিনা কি কারণে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। তবে এঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন