শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে দুই ফেরির সংঘর্ষে একজন নিহত,একজন নিঁখোজ ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ফেরির সংঘর্ষে ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি)। বিআইডব্লিটিসি শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম (মেরিন) একেএম শাহাজাহান। অপর তিন সদস্য হলেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম (মেরিন) আহমেদ আলী ও মাঝিকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট দেবে কমিটি।
আজ রবিবার (১৯ জুন) ভোর ৪টার দিকে জাজিরা প্রান্তের টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামালের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনায় সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত হন খোকন শিকদার (৪০) নামে এক পিকআপ ভ্যানচালক। নিহত খোকন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংড়াখালি এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে।
সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার হাসান আলী জানান, রাত থেকেই পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এই স্রোতের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করছিল। ভোর রাতের দিকে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামে দুই ফেরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এসময় তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুটি ফেরির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় ফেরিতে থাকা একজন গাড়ির চালক নিহত হয়।
সংঘর্ষের পর দুটি ফেরিই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যানবাহন ও যাত্রীদের নামানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানান, ফেরি সুফিয়া কামাল ৩০টি যানবাহন নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে। একই নৌপথে ৩৪টি যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝিকান্দির অভিমুখে যাচ্ছিলো ফেরি বেগম রোকেয়া। দুটি ফেরি পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্ট জাজিরা প্রান্তে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ আইনি পক্রিয়া শেষে খোকন (৪০) নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কোনো যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন