সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খাল খনন না হওয়ায় ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

ফরিদপুর বোয়ালমারীতে বিএডিসির খাল খনন না হওয়ায় ৫ গ্রামের ১ হাজার একর ফসল নষ্ট হয়ে পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ৫ থেকে ৬ হাজার কৃষক পরিবার। গতকাল রোববার সরেজমিন জেলার একাধিক গণমাধ্যম কর্মী এবং মানবাধিকার নেতারা উক্ত এলাকায় গিয়ে কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়ার ভয়াবহ চিত্র দেখতে পান।
এ সময় এলাকাবাসী জানান, সাতৈর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বামনগারিয়ায় মাঠের ১০০ বছরের পুরাতন খালটি ৪ থেকে ৫ শত মিটার খাল খনন না হওয়ার কারণে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক কৃষক পরিবার পানিতে ডুবে মরবে এবং ১ হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হলে ১০ হাজার কৃষকের মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারবে না। এতে পথের ফকির হবে ৫ থেকে ৬ হাজার কৃষক পরিবার। এদের কান্নার শেষ নাই। গতকাল ঘটনাস্থলে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতাদের দেখে প্রায় অর্ধশত নারীরাও বামোনগারিয়ার ১০০ বছর আগের পুরাতন খালটি খনননের জোড় দাবি জানান এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিষয়টি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন বিধায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল মিন্টু গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি এই খালটি খননের উদ্যোগ নিলেও হটাৎ মালিকানা জটিলতায় খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্রুতই খালটি খনন না হলে ৫ গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার কৃষকদের সমস্ত ফসল ডুবে যাবে।
খাল খনন নিয়ে কথা হয় ২ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মো. আফসারের সাথে, তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বামোনগারিয়ার এই খালটির বয়স প্রায় ১০০ বছর। এটা দিয়ে ৫ গ্রামের পানি নামতো। খালটি পুঃনখনন খুবই জরুরি।
খাল খনন নিয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা হয়, স্থানীয় মুরব্বি, চন্দ্র কুন্ড, সুকুমার মুখার্জি, কাদেরদি কলেজের ষ্টাফ মো. হাবিবুল মাতুব্বরের সাথে তারা গণমাধ্যমকে জানান, বামোনগারির বিলের পানি ও জলাবদ্ধতা দূর করতে ১০০ বছর আগে এই খালটি সচল ছিল। আমরাই ৬০ থেকে ৭০ বছর যাবৎ দেখছি। খালটির পুঃনখনন খুবই জরুরি। এ বিষয় কথা বলার জন্য বোয়ালমারীর এসিল্যান্ড মারিয়া হক এবং নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম কে, তাদের নিজ নিজ মোবাইলে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ না করায়, তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন