বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, পানির নিচে সারা দেশই। তবে সরকার সতর্ক। বন্যায় মানুষের জান-মালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় এবং মানুষ যাতে বন্যার পানির কারণে কোনো কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে কাজ করতে আমাদের মন্ত্রীদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে। আজ সোমবার (২০ জুন) দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী আরও বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সিলেটেরসহ বাইরের মন্ত্রীরাও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসছেন এবং ত্রাণ বিতরণ করছেন। আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। এর আগেও আমাদের স্বশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করেছে, এবারও করছে। সুতরাং এ বিষয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। দুযোর্গ আমাদের আসবেই, এগুলো মোকাবেলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, অভাবনীয় বন্যার কারণে গত শুক্রবার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি উঠায় সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা করে দেয়া হয় বন্ধ। পরিবর্তন করা হয় লন্ডন ফ্লাইটের শিডিউল। গতকাল রোববার থেকে নামতে শুরু করে রানওয়ের পানি। আজ সোমবার প্রায় পুরোটাই নেমে যায় পানি। বন্যাকবলিত ওসমানী বিমানবন্দর আজ পরিদর্শনে আসেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। পরিদর্শন শেষে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল। তিনি বলেন, রানওয়ে থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে রয়েছে রানওয়েরর অ্যাপ্রোচ লাইট। ফলে এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা আরও কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে। ‘আমরা দ্রুত সম্ভব এই বিমানবন্দর চালু করার চেষ্টা করব। তবে পানি পুরোপুরি না নামলে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরাও ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। পানি নামলেই ফ্লাইট চালু করা হবে।’ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পরিদর্শনে আসা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন) এয়ার কমোডর সাদেকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিমানবন্দরের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকে (সোমবার) থেকে ফ্লাইট চালুর কথা থাকলেও অ্যাপ্রোচ লাইট তলিয়ে থাকায় ফ্লাইট বন্ধ রাখা হবে আরও কয়েকদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন