নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রফিকুল ইসলাম নামের এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে, এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের পরিবারের মধ্যে ভিন্নমত পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল সোমবার ভোর রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ভায়েলা কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। নিহত রফিকুল ইসলাম উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ভায়েলা এলাকার মৃত আমানত খাঁনের ছেলে।
নিহত পোল্ট্রি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মফিজুর রহমান জানান, তার ভাই রফিকুল ইসলামের বাড়ি ঢাকার মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় ছিলো। রফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী আলেয়া বেগমসহ ছেলে সবুজ মিয়া ও সাথী বেগমকে রেখে গত দুই বছর আগে রুপালী বেগম নামের ৫ সন্তানের মাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় থাকা জমি-জমা বিক্রি করে রূপগঞ্জের ভায়েলা কবরস্থান এলাকায় জমি ক্রয় করে টাকা নিয়ে এসে সেখানে ঘর ও পোল্ট্রি ফার্ম নিমাণ করে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনিসহ পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাই রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ২য় ভাবি রুপালী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, রুপালী বেগমের সহায়তায় অজ্ঞাত স্বার্থে অজ্ঞাত আসামিরা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে হত্যার রহস্য গোপন করছে।
এদিকে, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ২য় স্ত্রী রুপালী বেগম জানান, ভায়েলা কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার নির্জন জায়গায় তারা বসবাস করে আসছেন। এছাড়া এ বাড়িতে স্বামী রফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রুপালী বেগম একা বসবাস করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির আশপাশে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা অনেক বেশি। বেশ কয়েকদিন ধরে মাদকসেবনকারীরা তাদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলো। গতকাল ২ থেকে ৩ জন অজ্ঞাত যুবক রফিকুল ইসলামের ঘরে প্রবেশ করে স্ত্রী রুপালী বেগমকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে রুপালী বেগমের সামনেই রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে রুপালী বেগম তার আত্মীয়ের বাড়িতে খবর দিলে আত্মীয়রা রফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিন্নমত পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ড উদ্ঘাটন করে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন