গৃহকর্মী ধর্ষণ মামলায় অবশেষে কারাগারে গেলেন ফটিকছড়ি'র উপজেলা আনসার-ভিডিপি ও নির্বাচন অফিসার। মঙ্গলবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে তারা উভয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
এর আগে গত ১২ মে সকালে ফটিকছড়ি উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার মোঃ সাইদুল ইসলাম ও সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার (বর্তমানে রামগড় উপজেলা নির্বাচন অফিসার) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ৪৭ বছর বয়সী এক গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। ফটিকছড়ি থানায় দায়ের করা এ ধর্ষণ মামলায় আরও দু'জনকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়। এরা হলেন, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী ও অপর গৃহকর্মী শিখা শীল।
এজাহারে উল্লেখিত তথ্যে প্রকাশ- উপজেলা পরিষদের নিকটবর্তী ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভবনে ভাড়া থাকতেন উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার সাইদুল ইসলাম ও নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। ওই বাসায় রান্নার কাজ করতেন অভিযোগকারী নারী।
গত ২৭ মার্চ ওই বাসায় সাইদুল ও হুমায়ুন ওই নারীকে ডেকে পাঠিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। ঘটনার সময় হুমায়ুন কবীর ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন, তবে গত ২৮ এপ্রিল তিনি ফটিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় বদলি হন।
মামলার পর তারা দু'অফিসার উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন বলে শোনা যায়। উচ্চ আদালতের আদেশ মতো বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আজ তাদের কারাগারে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়।
মামলার বাদীনি এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, আসামীরা জেলে যাওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। সোমবার বিকেলেও আসামী হুমায়ূন কবির আমাকে আপোষ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি তাতে সায় দেইনি। আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে বিশদভাবে বর্ণনা তুলে ধরব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন