মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর ভ‚মিহীন ও ভাতাবঞ্চিত

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

 বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান একাত্তরে ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলেও তিনি এখন ভ‚মিহীন ও ভাতা বঞ্চিত। তার জন্মস্থান গাইবান্ধার ফুলছড়ির রতনপুর গ্রামে একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। থাকছেন অপরের দেওয়া একখÐ জমিতে একটি কুঁড়েঘর তুলে। তিনি জানান, তিনি ভারতীয় তালিকা এবং মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার যুদ্ধকালীন কমান্ডার খায়রুল ইসলাম, সহযোদ্ধা মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, মোজা ব্যাপারী, আব্দুর রশিদ এবং নুরুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে নিজের কষ্টের কথা লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে নিজ এলাকা ফুলছড়ি থেকে ভারতীয় মেঘালয় রাজ্যে মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কমান্ডার মো. খায়রুল ইসলামের অধীনে ২৩ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ৩নং প্লাটুনের কমান্ডার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ তার হাতে এসএলআর তুলে দেন। ১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যা ও নদী ভাঙনে তিনি ভ‚মিহীনে পরিণত হন। তার ঠাঁই হয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার ও সুরক্ষার কাজের জন্য ২০১৯ বাঁধের আশ্রয়টিও উচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর থেকেই তার ঠাঁই মিলেছে অপরের দেওয়া একখÐ জমিতে।
বয়সের কারণে তিনি শারীরিক পরিশ্রম করতে পারেন না। এলাকাবাসী দয়া করে স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব দেওয়ায় সেখান থেকে পাওয়া সামান্য অর্থে তিনি ও তার বৃদ্ধা স্ত্রীর জীবিকা নির্বাহ করছেন। দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান চালু হওয়ার পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরে বহুবার লিখিত আবেদন করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে স¤প্রতি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কমিটির সদস্য সচিব একটি তদন্ত করে তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা (হাফিজুর রহমান) এবং ভাতা পাওয়ার যোগ্য সে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
যথারীতি ওই তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি তার ভাতার প্রাপ্তির বিষয়টি অনুুমোদনও করেছেন। তারপরও হাফিজুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলার ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাব এডমিনিস্ট্রেটেটিভ অফিসার জোবায়ের হোসেন চৌধুরীর অনৈতিক দাবি পূরণ না করায় ভাতা পাচ্ছেন না বলে তিনি সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন