শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

খুলনা শিপইয়ার্ডে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভেসেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম


 দেশে প্রথমবারের মতো ‘সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভেসেল’ নির্মাণ কাজের সূচনা করল খুলনা শিপইয়ার্ড। গতকাল মঙ্গলবার মোংলা বন্দরের জন্য প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এ বিশেষায়িত নৌযানের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বন্দর কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহম্মদ মুসাÑওএসপি, এনপিপি, আরসিভিএস, এএফডবিøউসি, পিএসসি, পিএইচডি-বিএন। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ-এনজিপি, পিএসসি-বিএন, এর সভাপতিত্বে এ ‘কিল লেয়িং’ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির জিএমবৃন্দ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কিল লে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহম্মদ মুসা বলেন, এ বিশেষায়িত নৌযান মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানদÐে উপনীত করবে। তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, এক সময়ের রুগ্ন ও বিরাষ্ট্রীয় করণের তালিকভ‚ক্ত এ প্রতিষ্ঠান আজ গোটা জাতীর গর্ব। যা সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে। খুলনা শিপইয়ার্ড উপমহাদেশের নৌ নির্মাণ শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবস্থান করে নিতে পাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নৌবাহিনীর এ প্রতিষ্ঠান আজ গোটা জাতীর গর্ব।
সভাপতির ভাষণে খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সামসুল আজীজ বলেন, আগামী ১৫ মাসের মধ্যে আমরা ‘সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভেসেলটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে মোংলা বন্দরের কাছে হস্তান্তর করব। খুলনা শিপইয়ার্ড দেশের মাটিতে এখন যেকোন অত্যাধুনিক নৌযান নির্মাণে সক্ষম বলেও জানান তিনি। আন্তর্জাতিক মাননির্ণয় প্রতিষ্ঠান ‘আইএসও’র সনদপ্রাপ্ত খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোপূর্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ছোট ও বড় মাপের একাধিক যুদ্ধ জাহাজ ছাড়াও সমর নৌযান তৈরি করেছে।
মোংলা বন্দরের জন্য নির্মিতব্য সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভেসেলটিতে বিশে^র অত্যাধুনিক মেশিনারীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সংজোয়িত হবে। প্রায় ৯১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট প্রস্থ এ নৌযানটি জার্মেনীর ‘জিএমবিএইচ’ এর নকশায় তৈরি হচ্ছে। নৌযানটির সাহায্যে বন্দরের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ মিশনসহ মেরিটাইম সার্ভিলেন্স দক্ষতার সাথে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
নৌযানটিতে আমেরিকার ‘এমটিইউ’ ব্রান্ডের ১,৬৩০ কিলোওয়াট ক্ষমতার দুটি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও দুটি জেনারেটর থাকবে। এছাড়া ১টি করে ডেক ক্রেন ও রেসকিউ বোটসহ সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট,ওয়েলি ওয়াটার সেপারেটর এবং নেভিগেশন কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট, মাল্টিবিম সোনার, ডিজিপিএস, নেভিগেশন রাডার ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ভিএইচএফ সেট ছাড়াও ইকো সাউন্ডার সংযোজন করা হবে। যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমুদ্র বন্দরের দক্ষতা ও কর্ম পরিধিকে যথেষ্ঠ সমৃদ্ধ করবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৌযান জরিপ প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের ‘ব্যুরো ভেরিটাস’এর নীতিমালা অনুসরন করে নির্মিতব্য এ নৌযানটি মোংলা বন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সমুদ্র বন্দরে পরিণত করবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন