মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার বরমচাল ও ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তীস্থানে রেল সড়কে বন্যার পানি উঠেছে। যে কোন সময় সারাদেশের সাথে সিলেট অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দার জানান বরমচাল ও ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী ফানাই-আনফানাই নদীর ওই স্থানের প্রায় ২শ ফুট রেললাইনে থেকে পানি উঠতে শুরু করে। সময় যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে পানি। ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে ওই স্থানের রেললাইন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ওই স্থানে যে ভাবে বন্যার পানি বাড়ছে তাতে এখন গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পানি বাড়তে থাকলে সারাদেশের সাথে সিলেট অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গেল কয়েক দিন থেকে টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের তীরবর্তী কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। কম বেশি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এখনো অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকার ঘরবাড়িতে উঠছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। বৃদ্ধি পাচ্ছে হাওরের পানি। এমতাবস্তায় রেললাইনের ওই স্থানসহ কুলাউড়ার বিভিন্ন স্থানের রেললাইনে পানি উঠায় নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলছে রেল যাত্রীদের।
বরমচাল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাজ্জাদ আলী সাজু জানান ফানাই-আনফানাই নদী এলাকায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকালের তোলনায় পানি আজকে দুপুর পর্যন্ত অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বলেন এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ওই স্থানটি দিয়ে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার মুঠোফোনে জানান গেল ৩ দিন থেকে ওই স্থানটিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেল লাইনের দুটি স্থানে ১ থেকে ২ ইঞ্চি উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোতে কম থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ট্রেন চলাচল যে কোন সময় বন্ধ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জায়গাটি পরিদর্শন করছেন। তাদের পরামর্শনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গেল কয়েক দিনের পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টি কারণে কুলাউড়া থেকে সমশেরনগর ও কুলাউড়া থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন