শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চুয়াডাঙ্গার জয়রামপুর কাঁঠালতলায় দ্রুতগতির ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে ৪ স্কুল ছাত্র হতাহত

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২২, ৭:১৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলায় দ্রুতগতির ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে সুমন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত ও স্কুল ছাত্র রাশেদুল, তামিল এবং ইমন আহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এদিন দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে একই মোটরসাইকেলে চেপে জয়রামপুর গ্রামের শেখপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলামর(১৩), তারা চাঁদের ছেলে তামিলর(১৪), বাবলুর ছেলে ছেলে সুমনর(১৩) ও আরিফুল ইসলামের ছেলে ইমনর(১৩) লোকনাথপুর গ্রামের ফুটবল মাঠে খেলা দেখতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে জয়রামপুর কাঁঠালতলায় রতনের কাঠের দোকানের সামনে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ জনই রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা লোকজন ও দামুড়হুদা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যানরা তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দামুডহুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হসপাতালে রেফার করে। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই সুমনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটির চালক ট্রাকসহ দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ ট্রাক চালককে আটক ও ট্রাকটি জব্দ করার চেষ্টা অব্যাহত চালাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ,দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া সেখানে সময় ক্ষেপন করা হয়। ওই সময় ব্যয় না করে দ্রুত তাদেরকে রেফার করলে হয়তো সুমন বেঁচে যেতো। সুমনের মারা যাওয়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছে নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়রা।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ওয়াহিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তিনজন শিশুকে নিয়ে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সুমন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স সেবার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য চালক না থাকায় অন্য চালককে ডেকে এনে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন