দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থান। প্রতি বছর সেখানে বাড়ছে পর্যটক সংখ্যা। সম্প্রতি পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কথা ভেবে সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটক সংখ্যা সীমিত করণের একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এতে দৈনিক নয়শত পর্যটক সেখানে যেতে পারবে। সেখানে রাত যাপনের ব্যাপারেও কড়াকড়ির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা শত শত পর্যটক ইচ্ছে করলেই সেন্টমার্টিন যেতে পারবেনা।
বিষয়টি পর্যটন শিল্পের সাথে সাংঘর্ষিক ও হঠকারিতামূলক দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ এবং পর্যটনের বিকাশে গলা টিপে ধরার শামিল বলে দাবি করেন ‘সী ক্রুজ অপারেটরস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ (স্কোয়াব) সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার কক্সবাজারের কলাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত ওই নীতিমালা প্রত্যাখান করে পর্যটনের বিকাশে সহায়ক নীতিমালা প্রনয়নের দাবি জানান তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন স্কোয়াব সভাপতি তোফায়েল আহমদ।
স্কোয়াব নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার পক্ষে। তবে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও এর সাথে জড়িত ৫ লাখ মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে তারা পরিবেশ অধিদফতরের স্ববিরোধী নীতিমালা প্রত্যাখান করছেন। তারা আগের নিয়মে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতের দাবি করেন। পাশাপাশি কক্সবাজারের অভিজ্ঞ ও সচেতন মহলের সাথে পরামর্শ করে পর্যটনের বিকাশে সহায়ক নতুন নীতিমালা তৈরির আহবান জানান তাঁরা।
স্কোয়াব নেতা তোফায়েল আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেল লাইন, চার লাইনের সড়ক পথ পর্যটনের বিকাশেই করছে সরকার। গত পর্যটন মৌসুমে সরকার কক্সবাজারের বিভিন্ন খাত থেকেই ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। কিন্তু পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিন ঘিরে যে স্ববিরোধী নীতিমালা প্রস্তাব করা হয়েছে তা হবে পর্যটনের বিকাশ নয় বরং পর্যটনের গলা টিপে ধরার মত। পর্যটক সীমিত করা কোন সমাধান নয় বরং সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরি করে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করাই যুক্তিযুক্ত। তারা এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সী ক্রুজ অপারেটরস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (স্কোয়াব) নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন