উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চরাঞ্চলের ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ৫২৯ হেক্টর জমির ফসল। বন্ধ হয়ে পড়েছে ১৭টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। এসব বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সহায়তা হিসেবে বন্যা কবলিত এলাকায় ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবাায়ন, কৃষি অফিস ও শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, এবারের বন্যায় উপজেলার পোগলদিঘা, আওনা, পিংনা, সাতপোয়া, কামরাবাদ ইউনিয়নসহ পৌরসভার ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে পিংনা ইউনিয়নে বন্যা কবলিত ৩শ পরিবারের মাঝে বরাদ্দকৃত ৩ মেট্রিক টন চাল বিতরন করা হয়েছে। অন্য ইউনিয়নগুলোতে পর্যায়ক্রমে চাল বিতরন করা হবে বলেও জানায়।
এদিকে বন্যায় ৪৩৫ হেক্টর জমির পাট, ৪ হেক্টর ভুট্টা, ৪০ হেক্টর সবজি, ৩৫ হেক্টর আউশ ও ১৫ হেক্টর বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অপর দিকে উপজেলার ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শ্রেনীকক্ষে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় মালিপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, টাকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরজামিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়ামেন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন নলসন্ধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাকাতিয়া মেন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকপটল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ মালিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১০টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি কমতে শুরু না করলে আরো নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে পড়বে আশংখা করছেন কতৃপর্ক্ষ।
এ-বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমিন বলেন- গত বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছেন। ইতিমধ্যে ১০টি বিদ্যালয়ের ক্লাশরুমে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ-ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবারের বন্যায় ৫২৯ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাাবিত হয়ে ফসলের আরো ক্ষতি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন