দেশের মধ্যাঞ্চলীয় শরীয়তপুরে বন্যার পানিতে চরাঞ্চলের নি¤œ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ২৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। এর ফলে জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা মেঘনা নদী বিধৌত এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহেল বলেন, টানা বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলার নি¤œাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। তবে এখন বন্যা বলা যাবেনা।
এদিকে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার নি¤œাঞ্চল গুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছ। রাস্তা ঘাট ও বাড়ি ঘরে পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। পদ্মানদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পেয়ে সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২ দিনে পানি বৃদ্ধির ফলে নড়িয়া-জাজিরা সড়কের মোক্তারচর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি এলাকায় প্রায় ৩০০ মিটার সড়ক তলিয়ে গেছে। ফলে ওই রাস্তায় গণ-পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নড়িয়া উপজেলার গাগরি জোড়া, পৌর এলাকার ঢালিপাড়া, কলুকাঠি, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর সারেং কান্দি, পাচুখার কান্দি, কাজিয়ারচর, পালেরচর, বড়কান্দি, পূর্বনাওডোবা, জাজিরা ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে।
বিশেষ করে পৌর এলাকার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি ও জাজিরা ইউনিয়নের পাতালিয়া কান্দি, দুব্বাডাঙ্গা, ভানু মুন্সি কান্দি, হাওলাদার কান্দি, লখাই কাজি কান্দি, জব্বার আলী আকন কান্দি, জব্বার মোল্যা কান্দি ও গফুর মোল্যা কান্দি ওই এলাকায় প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা, নওয়াপাড়া, নশাসন, জপসা, ভোজেশ্বর ও সদর উপজেলার পালং, তুলাসার, আংগারিয়া, বিনোদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নিচু এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। নিচু এলাকার কাচা রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ওই সব এলাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। হাস মুরগী পশু পাখি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছে।
ওই সব এলাকায় পাট, রোপা আমন, বোনা আমন, শাক সবজি ও আখ খেত তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কুরবানির জন্য পালিত গবাদি পশু নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকেরা মারাত্মক বিপদে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন