শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

শেখ হাসিনাকে পদ্মাকন্যা উপাধি দিলেন আব্দুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২২, ৬:১০ পিএম | আপডেট : ৬:১২ পিএম, ২৩ জুন, ২০২২

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মাকন্যা উপাধি দিলেন দলটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রিয় আপা পদ্মা আপনার জন্য অধীর আগ্রহে আছে। পদ্মা পারের লাখো কোটি মানুষ আপনাকে এক নজর দেখার জন্য সাহসি ও সাহসিকার জননী ‘পদ্মাকন্যা শেখ হাসিনাকে’ চোখের দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে।’

 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

 

আব্দুর রহমান বলেন, আপা গতকাল আমরা কয়েকজন গিয়েছিলাম। পদ্মা আপনার জন্য অধীর আগ্রহে আছে। পদ্মা পারের লাখো কোটি মানুষ আপনাকে এক নজর দেখার জন্য সাহসী ও সাহসীকার জননী পদ্মা কন্যা শেখ হাসিনাকে চোখে দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে।

 

অনেকে বলছে উৎসব বন্ধ করতে হবে তাদের জবাবে তিনি বলেন, প্রিয় নেত্রী আপনি ধারণাই করতে পারবেন না। ওখানে শুধু মানুষের সমাবেশ হবে না, ওখানে উৎসবের সমাবেশ হবে। ওখানে আনন্দের জোয়ারে নতুন পদ্মা সৃষ্টি হবে, সেই অপেক্ষায় আছে মানুষ। পদ্মা সেতু পারা পারের মধ্য দিয়ে ৭৫ এর খুনিদের জবাব দেবো।

 

পদ্মা সেতুর সমালোচনা করায় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সেদিন একজন বলেছিলেন এখানে ফেরি রাখার দরকার নাই। এটা দৌলতদিয়া পাটুরিয়া পাঠালেই হয়। আমি বললাম না ভাই কিছু ফেরি রাখার দরকার আছে। কারণ খালেদা জিয়ারা তো এই পদ্মায় উঠবে না। ওদের পার হতে হলে এই ফেরিতেই পার হতে হবে। এজন্য ওদের জন্য কয়েকটা ফেরি রেখে দেওয়া দরকার।

 

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে জিয়ার রাজনৈতিক বংশ উচ্ছেদ করতে হবে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। এই অপশক্তি বাংলাদেশকে মানে না। ওরা একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে যেতে চায় না। ওরা ৭ ই মার্চকে স্বীকার করে না, ২৬ মার্চকে স্বীকার করে না, ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে না অথচ ওরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে। জিয়াউর রহমান সেদিন সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামানোর এক পর্যায়ে সেদিন অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আজকে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে ওই মুক্তিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছিল। আজ নতুনর করে শপথ নিতে হবে।

 

সেদিন একটা জায়গায় আমাকে বলেছে আপনার মিলে মিশে থাকতে পারেন না, শুধু এক দল আর এক দলের সমালোচনা করেন তাদের বললাম আমরা যারা খুনের স্বীকার হয়েছি, যারা আমাদের খুন করেছে, সেই খুনিদের সাথে তো খুনের স্বীকার হওয়ারা মানুষদের সহঅবস্থান থাকতে পারে না। হয় ওরা থাকবে, না হলে আমরা থাকবো, এর মাঝে আর কোন পথ নাই। সেই পথই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন