ছাতক-সিলেট সড়ক থেকে পানি নেমেছে। উপযোগি হয়েছে যান চলাচলের। গ্রামীন সকল রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি থেকে পানি ধীরেধীরে নামছে। এখনও পানিবন্দি লাখো মানুষ। আশ্রয়ে আছেন স্কুল কলেজ মাদরাসা ও দ্বিতল ভবনের ছাদে। প্রথম থেকেই এখানে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কট রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি ত্রাণ নিয়ে আসছেন মানবিক মানুষ।
ছাতক-সিলেট সড়কের কালারুকা ইউনিয়নের ঝাওয়ার খাড়া এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে প্রায় ১শ ফুট সড়ক। এ ভাঙায় বড় বড় কয়েকটা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ৬দিন আগে চট্রগ্রাম থেকে ছাতক পেপারমিলগামী কাগজ তৈরির মালামাল ভর্তি একটি ট্রাক ওই ভাঙায় পড়ে গেলে ওই সড়কে সকল ধরণের যান চলাচল আবারো বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে ছাতক থানা পুলিশ ও ছাতক পেপারমিলের কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় দূর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করে নেয়া হয়। এবং গর্তগুলো এক্সেভেটর দিয়ে যানচলাচলের উপযোগি করে তুলেন। মধ্যরাত থেকে ছাতক-সিলেট সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে ভাঙন ও গর্তে বস্তাবন্দি বালু ও পাথর দেয়া হয়। বেলা ৪টায় ছাতকগামী মালবাহী আরেকটি ট্রাক ওই ভাঙার গর্তে পড়ে ফের দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের দু'পাশে ৫ শতাধিক মাল ও ত্রাণবাহী এবং যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। বেলা সাড়ে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রাকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, এখানে সড়ক ভাঙা থাকায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বন্যার্তদের জন্য নিয়ে আসা ট্রাক ভর্তি ত্রাণ ছাতক-দোয়ারায় সরাসরি প্রবেশ করতে পারছেনা। ভাঙার কারণে ত্রাণ নিয়ে মানুষ সুনামগঞ্জের দিকে যাচ্ছেন। কেউ কেউ দ্বিগুণ ভাড়ায় নৌকা রিজার্ভ করে হাওর পথে নিয়ে যাচ্ছেন মানুষের জন্য। সামান্য এ ভাঙটি দ্রুত সংস্কার করে লাখ লাখ মানুষের চলাচলের উপযোগি করে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ছাতকের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ভাঙায় বালু ভর্তিবস্তা ও পাথর দিয়ে আপাতত যানচলাচলের উপযোগি করে দেয়া হয়েছে। হঠাৎ একটি মালবাহী ট্রাক এখানে আটকা পড়েছে। এটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, পানি কমে গেলে সড়কের সকল ভাঙা সংস্কার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন