বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল সিলেটবাসীর এই দুঃসময়ে বন্যার্তদের পাশে নেই। গত দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে সিলেট ঘুরে গেছেন। তিনি সার্কিট হাউজে মন্ত্রী-এমপিসহ বড় বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। আর ৭ জন মানুষকে নিয়ে গিয়ে লোক দেখানো ৭টা প্যাকেট তুলে দিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের এমপিরা জনগণের পাশে নেই। এর মূল কারণ, তারা বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। যেখানে বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে গেছে। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা, কৃষি ফসল, গবাদী পশু ভেসে গেছে। তাদের জন্য তিনি কোন কিছুই দেননি । ৩০ লাখ বন্যার্থদের জন্য ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এই টাকায় বিপদগ্রস্থ মানুষের কি হবে। সরকারের এত বড় বিশাল বিশাল বাহিনী কি কাজ করছে? তাদের এমপিরা তো জনগনের কাছে নাই। এর মূল কারণ হচ্ছে তারা বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। জনগনের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নাই। গতকাল দুপুরে বন্যাদুর্গত জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গর্দনায় খাজার মোকাম উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসচিব আরো বলেন, ২০০৪ সালে যখন বন্যা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এসে, নিজ হাতে আপনাদেরকে খাদ্যসহায়তা দিয়ে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দী করে রেখেছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি জানান, আমরা দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের কাছে এসেছি। আমরা জানি আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী কিছুই দিতে পারব না। তারপরও আমরা সাধ্যমতো নিয়ে এসেছি। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের পাশে নেই, কারণ তারা বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে আছে। বিএনপি অতীতে আপনাদের পাশে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জৈন্তপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিসহ প্রমুখ। এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকালে সিলেট পৌঁছে হযরত শাহ জালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে জেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন