পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে লাঘোব হচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি। বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সেতু উদ্বোধন সরাসরি উপভোগ করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় পদ্মা পাড়ের উদ্দেশ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিয়ে ছেড়ে গেছে ৯ টি ডাবল ডেকার লঞ্চ। এ অঞ্চলে বসানো হয়েছে বিলাস বহুল পরিবহনের কাউন্টার। আশা করা হচ্ছে রবিবার সকাল থেকেই ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে চলাচল করবে এসব বাস। সেতু উদ্বোধনের ফলে ত্বরানিত হবে কুয়াকাটা কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প। পায়রাবন্দর কেন্দ্রিক এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে বৃহৎ শিল্প কারখানা। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেস দক্ষিনাঞ্চলবাসী।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তবে সবচেয়ে বেশী সুবিধা ভোগ করবে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে রঙ্গিন আলোয় আলোকিত করা হয়েছে পর্যটন নগরীরর অধিকাংশ সড়ক। হোটেল-মোটেলের অনেক রুম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে উৎসবে মেতেছে কুয়াকাটার রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ। শনিবার দুপুর বারোটায় মি¯্রপিাড়া বৌদ্ধ বিহারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় তাদের কৃষ্টি কালচালের নাচ এবং গান পরিবেশন করা হয়। তাদের এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শত শত স্থানীয় মানুষ। সবশেষ তাদের হাতে তৈরী বাহারী পিঠা অতিথিদের মাঝে প্রদান করা হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গন নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়। সকাল থেকেই রাখাইন সম্প্রদায়ের সকল নর-নারী অনেকটা উচ্ছসিত ছিলো।
কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল-মোটেল সমিতির সভাপতি শাহআলম হাওলাদার জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেলে আগামী ১৫ দিনের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় ঘোষনা করেছে আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতি। রেস্তোরাগুলোতেও থাকছে ২০ শতাংশ ছাড়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন