জনবিচ্ছিন এলাকায় অবস্থিত বাগদুলের শ্বশ্বান ঘাট, সেই শ্বশ্বান ঘাটে অবস্থিত একটি মুর্তির ঘরে ঠুকে মা কালি’র পতিমা ভাংচুর করেছে অজ্ঞাত দূবৃত্তরা। এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। সেই সাথে এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তাদের খুজছে থানা পুলিশ।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র সমাধীস্থল শ্বশ্মান ঘাটটি বাগদুলী একটি বিশাল মাঠের মধ্যে অবস্থিত। শ্বশ্বান ঘাটের ৪ পাশেই রয়েছে বিস্তৃন্ন মাঠ, সেখানে এখন সব জমিতেই পাট চাষ করা হয়েছে। মাঠের মধ্যখানে দির্ঘ দিনের পুরাতন শ্বশ্বান ঘাটটি। সেখানে যাওয়ার জন্য নেই কোন রাস্তা।
বাগদুলী শ্বাশ্বান ঘাট কমিটি সংশ্লিষ্ঠ পাংশা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শিব শংকর চক্রবর্তী, বাগদুলী বাজারের ব্যবসায়ী বিষ্ণুপদ ঘোষ তারা জানান- রবিবার রাতের কোন এক সময় অজ্ঞাত দূবৃত্তরা এ প্রতিমা ভাংচুর করেছে, তবে সকলেরই ধারনা এটা কোন সহিংসতা নয়, এটা নেশা খোরদের কাজ, এ ঘটনার একদিন আগে অজ্ঞাত দূবৃত্তরা ওই মন্দির থেকে ইট চুরি করে নিয়েছে, মন্দিরের পিছনে ট্যাপে›ডা জাতীয় নেশা খাওয়ার আলামত দেখতে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, ইন্সেপেক্টর তদন্ত উত্তম কুমার ঘোষ, মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান প্রামানিক, পাংশা আদি মহা শ্বশ্বান কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর, এস আই মোঃ কামাল হোসেন,এস আই দিপংকর, মোঃ আকরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এ ঘটনার পরে সোমবার ওই মন্দিরে রাখা মা কালি প্রতিমাকে বির্ষজন দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন এ ঘটনা শুনার পরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি শ্বশ্বান কমিটিকে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। তবে ইতি মধ্যেই আমাদের পুলিশের একাধীক টিম এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন