শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বগুড়ায় সহপাঠীকে হত্যা হাতিয়ে নেয়া মোবাইল বিক্রির টাকায় নারী ফুর্তি

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

সহপাঠী হত্যা করে মোবাইল হাতিয়ে সেটা বিক্রির টাকায় যৌনাকাংখা পুরণের কাহিনী বর্ণনা করলো দুধর্ষ কিশোর খুনি রফিক ( ছদ্মনাম)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে রফিকের অপকর্মের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সম্মেলনে তিনি তিনি জানান, ১৮ জুন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ইসরাইল শেখের ছেলে দাড়িগাছা হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র নওফেল তার এন্ড্রয়েড ফোনসহ নিখোঁজ হয়। দুইদিন পর ২০ জুন ওই গ্রামের একটি জঙ্গলে নওফেলের গলিত লাশ পাওয়া য়ায়। পুলিশের তদন্ত শুরু হলে ভয়ে পালিয়ে যায় নওফেলের ক্লাসমেট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু রফিক। পুলিশ এরই মধ্যে এক বৃষ্টি নামক এক নারীকে আটক করে। একই সাথে রফিককেও ঢাকার টঙ্গী থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে সব শিকার করে রফিক। সে জানায়, নওফেল ছিলো তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুজনে দুজনকে মামা বলে ডাকতো। মাঝে মাঝে দুজনে গোপন স্থানে মিলিত হয়ে সিগারেট ফুঁকতো। গত ১৮ জুন ছিল নওফেলের জন্মদিন। ওই দিনই নওফেলকে খুন করার পরিকল্পনা নেয় রফিক। বন্ধুকে বলে, চল জঙ্গলে গিয়ে সিগারেট ফুঁকে জন্মদিন সেলিব্রেট করি। সরল বিশ্বাসে নওফেল রাজি হয়ে জঙ্গলে গেলে সেখানেই কৌশলে নওফেলকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে পালায় রফিক। এরপর শেরপুর থেকে বৃষ্টিকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে দু’জন ভাই বোন সেজে বগুড়ায় একটি দোকানে নিজেদের অভাবের কথা বলে ফোনটা ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এরপরে বগুড়ার হোটেলপট্টি এলাকায় আবাসিক হোটেলের কক্ষ ভাড়া নিয়ে রফিক ও তার আরেক বন্ধু তাদের দৈহিক চাহিদা মেটায়। এরপর বৃষ্টিকে সে দেড় হাজার টাকা দিয়ে চলে যায়। পুরো ঘটনা জানার পর পুলিশ বৃষ্টিকে জেল হাজতে এবং ১৪৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। রফিক নিয়মানুযায়ী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশীদ, মোতাহার হোসেন, হেলেনা আকতার এবং শাজাহানপুর থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন