কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রেমিক-প্রেমিকার শারীরিক সম্পর্কের বিশেষ মুহূর্ত দেখে ফেলায় প্রেমিকার ছোট বোনকে হত্যা মামলায় বড় বোনের প্রেমিককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয় হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাইন উদ্দিন উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হোরনের ছেলে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি গোলাম আকবর জানান, আসামি মাইন উদ্দিনের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর ড্রাইভারের মেয়ে শারমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১২ সালের ৮ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে শারমিনের মা বাড়িতে না থাকায় বাড়ির পাশে নতুন খননকৃত পুকুরের মাঝখানে প্রেমিকের সঙ্গে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হয় শারমিন। ঘটনাটি তার ছোট বোন সালমা আক্তার দেখে ফেলে মায়ের নিকট প্রকাশ করার হুমকি দেয়। এরপর নিহতের বড় বোন শারমিন ও প্রেমিক মাইন উদ্দিন সালমা আক্তারকে কাঠের টুকরা দিয়ে আঘাত করে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে তার লাশ বাড়ির পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। অতিরিক্ত পিপি আরো জানায়, তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আদালত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গতকাল দুপুরে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে, আসামি শারমিন আক্তারের বয়স সে সময় ১৬ বছর হওয়ায় শিশু আদালতে মামলার বিচার চলমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন