শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

যবিপ্রবি প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে মাইক্রোবায়োলজির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২২, ১২:০৫ এএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে মারধরের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বহিস্কৃত ছাত্র আজিজুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি জানায় বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রিফাত রেজওয়ান সেতু। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে সিকিউরিটি বাবদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই সিকিউরিটির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিস্কৃত ছাত্র আজিজকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। টাকা দিতে না চাইলে তারা প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিস্কৃত এক ছাত্র প্রকৌশলী মিজানুরকে ডেকে ড. ইকবাল কবীর জাহিদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে গেলে ড. ইকবাল কবীর জাহিদ একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মিজানুরের কানে থাপ্পড় মারেন। এরপর বহিস্কারকৃত ছাত্র আজিজও মিজানুরকে চড় থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করে। একই সাথে তারা দুজনেই প্রাণনাশের হুমকিও দেন বলে উল্লেখ করেছেন বাদী।
তবে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ দাবি করেছেন, ওই অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, মিজানুর ও আজিজের মধ্যকার কথা কাটাকাটি চলছিল। তাদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে মারপিট করিনি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারির সাউন্ড সিস্টেমের দুর্নীতির বিষয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিলাম। ওই রিপোর্টে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান অভিযুক্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ায় আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন