লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে গোয়ালঘর থেকে ভিজিএফের চাল উদ্ধার হওয়ার ঘটনার তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হলেও দুই মাস পার হয়ে গেছে। এদিকে, স্থানীয় চর মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে গুঞ্জন রয়েছে। চেয়ারম্যানের প্রভাবে অপরাধীদের রক্ষা করতে তদন্ত বিলম্ব হচ্ছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন নির্ভুল ও গ্রহনযোগ্য তদন্তের জন্য প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এরআগে গত ২৬ এপ্রিল রমজানের ঈদ সামনে রেখে দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ভিজিএফ'র চাল চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গোপনে গোয়ালঘরে এনে রাখা হয়। পরিষদ সংলগ্ন ওই গোয়ালঘরে ৭ বস্তা সরকারি চাল পাওয়া যায়। খবর পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও চরমার্টিন ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মোর্শেদ আলম চালগুলো জব্দ করেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল থেকে চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদে দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। চরমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী তার ঘনিষ্ঠ স্থানীয় নুর হোসেনসহ লোকজন দিয়ে বেনামে টোকেনের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করে গোয়ালঘরে বস্তা ভরে রাখেন বলে অভিযোগ উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে চালের বস্তা রিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। ওই সময় নুর হোসেনসহ জড়িতরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অথচ কমিটি হওয়ার দুই মাস পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন হয়নি।
চর মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী তদন্তে প্রভাববিস্তার করেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, তদন্তে করতে কর্মকর্তারা সরজমিন এসেছেন, এতে কোনো প্রভাববিস্তার করা হয়নি। এসব ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইকতারুল ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে, কিন্তু জমা দেওয়া হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার দেওয়া হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন