পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের পুলিশকে জনগণের পুুলিশ হিসাবে গড়ে তোলার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ পুলিশকে জনবান্ধব পুলিশ হিসাবে গড়ে তুলতে সরকারের সকল কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ইতিমধ্যে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের গুনগতমান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মানোন্নয়ন করা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ট্রেনিং, নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন। যানমাল ও যন্ত্রপাতি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে পুলিশকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে সময় উপযোগী ও আধুনিকায়ন করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, পুলিশ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনার মীরেরডাঙ্গা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ৫৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি টিআরসিদের ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণে সকল বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী মো. আহসান হাবীব আকাশ, আইন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী মো. রিয়াজুল ইসলাম ও মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী মো. বিপ্লব হোসেনকে পদক প্রদান করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ৮টি কোম্পানির মোট ৪৭১ জন টিআরসি শিক্ষানবিশ পুলিশ সদস্য মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহন করেন। সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের আরআই রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস। সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে কেএমপি পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা (ডিআইজি), খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত ডিআইজি আশরাফুজ্জামান (বিপিএম), খুলনাস্থ পুলিশ ইউনিটসহ সামরিক ও বেসামরিক ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন