শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সচিবালয়ে টাকা খরচের মচ্ছব

গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কমিশন বাণিজ্য

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২২, ১২:১০ এএম

২০২১-২২ অর্থ বছরের টাকা :  খরচ দেখাতে গোঁজামিলের কেনাকাটা চলছে
সারা বছর ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু অর্থ বছরের জুন ক্লোজিংয়ের আগে টাকা খরচের মচ্ছপ শুরু হয়ে গেছে। টাকা খরচ দেখাতে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সচিবালয়ে চলছে বিভিন্ন রুমের দরজা-জানালায় থাই গøাস লাগানো, টাইলস বসানো, রঙ করাসহ নানান কাজ। আর এসব কেনাকাটায় গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের চালিয়ে যাচ্ছেন ‘কমিশন বাণিজ্য’। সচিবালয়কে শব্দদূষণ মুক্ত রাখতে নানান উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন সচিবালয়ে শব্দদূষণ সর্বোচ্চ মাত্রায়।

জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদফতরের ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু ইনকিলাবকে বলেন, এপিপির অর্থ সঠিকভাবে যাতে ব্যয় হয়, সে বিষয়ে মনিটরিং করা হয়। সবাইকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর কেউ কিছু করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ-১) শাকিলা জেরিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, আসলে সচিবালয় হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি ভবন এখনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব ও সচিবদের অফিস করেন। তাদের রুমের দরজা-জানালায় থাই গøাস লাগানো, টাইলস বসানো, রঙ করাসহ সব কাজ গণপূর্ত অধিদফতর করছে।

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব ও সচিবদের অফিস রুমের দরজা, জানালায় থাই গøাস লাগানো, টাইলস বসানো, রঙ করা এবং কেন্দ্রীয় রেকর্ড ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন লাইন মেরামত করা নামে চলছে, গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কমিশন বাণিজ্য। সচিবালয়ের প্রতিটির ভবনে কাজ চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আবার অনেক ভবনে কোনো কক্ষে মেরামত ও রঙ না করেও সরকারি অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সচিবালয়ের এক নম্বর ভবন মন্ত্রিপরিষদ ভবনটি ভ‚মিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও সংস্কারে নামে সরকারি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। আজ ৩০ জুন ২০২১-২২ অর্থ বছরের শেষ হচ্ছে জুন ক্লোজিং (অর্থবছর)। কিন্তু সময়ের অভাবে অনুমোদন পাওয়া প্রাক্কলিত অর্থ কাজে লাগাতে গোপনে কাগজ-কলমে দরপত্র আহŸান দেখিয়ে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূলত শেষ হতে যাওয়া অর্থ বছরের টাকা খরচের মচ্ছপ চলছে। তা না হলে বরাদ্দ অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে। তাই গোঁজামিল দিয়ে, কখনও কাজ না করেই কাগজ-কলমে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল দিয়ে দিচ্ছেন গণপূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলীরা। অথচ সচিবালয়ের সামনে বড় অক্ষরে বলা হয়েছে শব্দদূষণ এলাকা। সেই বিধিমালা মানছেন না গণপূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলীররা।

গণপূর্ত সার্কেল-২-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক এবং গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার ইবনে সাঈখ যোগসাজশ করে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল পরিশোধ করছেন। তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর অফিসকে বিলের মোট ৫ পার্সেন্ট দিতে হয়। সম্প্রতি তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর অফিস কক্ষটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করার বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থাপনা মেরামত বা বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (এপিপি) খাতে গণপূর্ত অধিদফতরকে মোট ৮১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে স্থাপনা মেরামতের জন্য আবাসিক ভবনে ৫ হাজার ৯১২টি কাজের জন্য ৪০৫ কোটি এবং অনাবাসিক ভবনে ৬ হাজার ১৭৪টি কাজের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যেসব ভবনে কাজ চলছে সে গুলো হচ্ছে, ৬ নম্বব ভবন, ৭ নম্বর ভবন, ৩ নম্বর ভবন, ৪ নম্বর ভবনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে দেখভালের দায়িত্বে গণপূর্ত সার্কেল-২-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক এবং গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার ইবনে সাঈখ যোগসাজশ করে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল পরিশোধ করছেন। তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর অফিসকে বিলের মোট ৫ পার্সেন্ট দিতে হয়। সম্প্রতি তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর অফিস কক্ষটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলেছে কর্মকর্তারা তা আবার সমালোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ১০ মাস আগে কক্ষটির ওয়াশরুমের কমোডসহ ফিটিংস পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং দামি ফার্নিচার কেনা হয়েছিল। প্রথমে দামি টাইলস বসানোর পর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলীর তা পছন্দ না হওয়ায় আবার তা তুলে দামি পাথর বসানো হয়েছে। এভাবে প্রশাসনের অনেক ভবন সংস্কারে নামে সরকারি টাকা অপচয় করেছেন এসব কর্মকর্তারা।

ঢাকার তেজগাঁও ভ‚মি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের বাংলো-১-এর দরজা, জানালায় থাই গøাস লাগানো, টাইলস বসানো, রঙ করা এবং কেন্দ্রীয় রেকর্ড ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন লাইন মেরামত ও গ্যারেজ কাম-ড্রাইভার কোয়ার্টারের নিচতলায় গ্যারেজগুলোর সিলিং মেরামত, বিভিন্ন দরজা মেরামত, স্যুয়ারেজ লাইন মেরামত কাজের জন্য গত ৫ জুন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার একটি প্রাক্কলন অনুমোদন করেন ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-২-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক। কিন্তু অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে অনুমোদন পাওয়া এ কাজ শেষ না করেই বিল পরিশোধের সব প্রস্তুতি চ‚ড়ান্ত করেছেন ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার ইবনে সাঈখ। শুধু এটা নয়, বিভাগ-৩-এর জন্য এভাবে গত মে ও চলতি জুন মাসে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি মেরামতের কাজের প্রাক্কলন, যার অধিকাংশই নামমাত্র কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এভাবে মে ও জুন মাসে তড়িঘড়ি করে গণপূর্ত অধিদফতরের ঢাকা জোন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অধীনে ২০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ দেখানো হচ্ছে ভবন মেরামত, রঙ করাসহ আনুষঙ্গিক কাজসম্পন্ন দেখিয়ে।

গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, গত মে মাসের শেষদিকে বা জুন মাসে কোনো প্রাক্কলন অনুমোদন হওয়ার পর দরপত্র আহŸান করে সঠিকভাবে কাজসম্পন্ন করা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তারপরও অর্থবছর শেষ হওয়ায় কাজ শেষ দেখাতে হবে জুনের মধ্যে। তা না করলে বরাদ্দ অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে। এ কারণে বেশিরভাগ নির্বাহী প্রকৌশলীই গোঁজামিল দিয়ে বা কাজ না করেই কাগজ-কলমে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল দিয়ে দিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, গণপূর্ত অধিদফতরের ই/এম ঢাকা-৮-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ হারে টাকা নিয়ে প্রাক্কলিত দর অনুযায়ী কাজ দিয়েছেন। পিপিআর অনুযায়ী এলটিএম (লিমিটেড টেন্ডারিং মেথড) পদ্ধতিতে দরপত্র হওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ওটিএমের মাধ্যমে টেন্ডার আহŸান করে কাজ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার আইডি হাইড করে রেখে যাদের কাছ থেকে টাকা নিত পরে তাদের আইডি ও রেট জানিয়ে দিত বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। তাদের দাবি, পিপিআর অনুযায়ী ইজিপিতে এলটিএমের বাইরে দরপত্র আহŸানের সুযোগ নেই। এলটিএমের ক্ষেত্রে প্রতি টেন্ডারে ১০ শতাংশ কমে দর জমা পড়ে। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়। এতে সরকারের শিডিউল বেশি বিক্রি হওয়ায় সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হওয়ার পাশাপাশি ১০ শতাংশ কমের কারণে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হয়। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী তার মনোনীত ব্যক্তিদের প্রাক্কলিত মূল্যে কাজ দেওয়ায় সরকারের ১০ শতাংশ হ্রাসের অর্থ লোকসান হচ্ছে। তবে এই ১০ শতাংশ টাকা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদার ভাগ করে নেন, তাদের নির্ধারিত কমিশনের বাইরে।

ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ মে ঢাকার সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনের ১নং বøকের দ্বিতীয় তলায় প্রয়োজনীয় মেরামত ও রঙ করার একটি প্রাক্কলন এবং সেগুনবাগিচায় অডিট কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলায় পূর্ত অডিট অধিদফতরের বিভিন্ন কক্ষে মেরামত ও রঙ করার কাজের আরেকটি প্রাক্কলন অনুমোদন দিয়েছেন ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-১-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী।
গত সোমবার রাজস্ব ভবনের দ্বিতীয় তলায় রঙ করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এনবিআরের প্রশাসন বিভাগের কর্মচারীরা জানান, দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় কোনো মেরামত বা রঙ করা হয়নি, বরং এই ভবনের দেয়ালগুলোর অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। একইভাবে অডিট কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, শুধু লিফটের সামনের ছোট্ট খোলা জায়গার দেয়ালের নিচের অংশ মেরামত করা হয়েছে।

গণপূর্ত ঢাকা সার্কেল-১-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. জামিলুর রহমানের কার্যালয় থেকেও অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে মে ও জুন মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকার কাজের প্রাক্কলন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত কাজের প্রাক্কলন পাঠানোর ঘটনাও ধরা পড়ে। আরবরিকালচার বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ মো. কুদরত-ই-খুদাও কাগজ-কলমে গাছ লাগানোর নামে অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার বিল পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ২২৪টি কাজের চাহিদা দিয়ে চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন ১০ কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে এসে কয়েকদিন আগে ই/এম গণপূর্ত বিভাগ-৮-এর জন্য জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বৈদ্যুতিক কাজ ও তিনটি এয়ারকুলার লাগানোর জন্য ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক ভবনে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ও সুইচ পরিবর্তনের জন্য ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার, গার্ডেন লাইট ও সিকিউরিটি লাইটের জন্য ২৮ লাখ ৭০ হাজার, ইমার্জেন্সি বøকে এসির জন্য ১৫ লাখ ৯৬ হাজার, রেটিনা বøকের এসির জন্য ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ও প্রশাসনিক বøকে ভিআরএফ এসির জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-২-এর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাকের ফোনে যোগাযোগ ইনকিলাবকে বলেন, যারা ভালো কাজ করে তার বিরুদ্ধে সব সময় এগুলো অভিযোগ হয়। তবে কাজ না করে বিল পরিশোধের কোনো সুযোগ নেই। অনেক সময় প্রশাসনিক অনুমোদন পেতে দেরি হয় তাই এমনটি হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছ থেকেও প্রাক্কলন পেতে দেরি হয়। তিনি এসব বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার ইবনে সাঈখের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
দুর্নীতি বন্ধে সারাদেশে ৮টি কমিটি গঠন করা হচ্ছে
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার ইনকিলাবকে বলেন, আমি আসার পরে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে। তারপরও গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুর্নীতি বন্ধে সারাদেশে ৮টি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ কমিটি সারাদেশে উন্নয়ন কাজ ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি গুলো ক্ষতিয়ে দেখবেন। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সচিবালয়ে আমাদের কিছু কর্মকর্তারা নিজেরাই ঠিকাদার সেজে কাজ করছেন। এসব দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। করোনার কারণে গত দুইবছর আমাদের ঠিকাদারা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি। সেকারণে কর্মকর্তারা সুযোগ নিয়েছিল। সে বিষয়টি নিয়ে আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। এরপরও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
ইমরান ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৫৭ এএম says : 0
সরকার দেশের অনেক উন্নত করছে। কিন্তু তাদের কিছু ব্যাক্তির কারণে সব উন্নয়ন ভেস্তে যাচ্ছে।
Total Reply(0)
ইমরান ১ জুলাই, ২০২২, ৪:৫৮ এএম says : 0
আমরা সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি, যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে তাদেরকে যেন শাস্তির আওতায় আনে।
Total Reply(0)
হামজা ১ জুলাই, ২০২২, ৫:০৫ এএম says : 0
সরকার ইচ্ছা করলে এসব অপরাধীদের ধরতে বেশি সময় লাগবে না। বিভিন্ন দুর্নীতি জনগণের কাছে সরকারের ইমেজ অনেক নষ্ট হয়েছে।
Total Reply(0)
হামজা ১ জুলাই, ২০২২, ৫:০২ এএম says : 0
যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে তারা কোনো সময় ভালো হতে পারে না। বরং তারা সরকারের ইমেজ নষ্ট করে। কাজেই সরকার তাদের শাস্তি দিলে জনগণের কাছে সরকারের আস্থা আরো বেড়ে যাবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন