শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাস জীবন

পর্তুগালে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস ভবন উদ্বোধন

পর্তুগাল সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ৬:৩৪ পিএম | আপডেট : ৬:৩৫ পিএম, ২ জুলাই, ২০২২

পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (১ জুলাই) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত আলভারো মেন্ডোনসা ই মৌরা।

উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও ফিতা কাটার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারি ভবনের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা, পর্তুগিজ অতিথিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, স্থায়ী চ্যান্সারি বিল্ডিং একটি দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। কারণ আমাদের দূতাবাসের কাজের চাপ বহুগুণ বেড়েছে, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জনসাধারণের জন্য কনস্যুলার বিষয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধি এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি মনে করেন, নতুন চ্যান্সারি ভবন বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করতে বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন এবং রাষ্ট্রদূতের স্থায়ী বাসভবন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত আলভারো মেন্ডোসা ই মৌরা তার বক্তব্যে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার এবং পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীদের অভিনন্দন জানান। লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, চ্যান্সারি বিল্ডিংটি আমরা যে গত বছর স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করেছি তারই একটি রূপান্তরের প্রতীক এবং এটি জাতীয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার মান অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, এই স্থাপনাটি কেবল একটি ভবন নয়, এটি পর্তুগালে আমাদের বন্ধুদের কাছে আমাদের বার্তা বহন করে যে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসকে মূল্য দেই।

অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা বিশেষ দিনে তাদের অনুভূতি ভাগাভাগি করতে চ্যান্সারি মিলনায়তনে একত্রিত হন। পর্তুগালে বাংলাদেশের মালিকানাধীন দূতাবাস থাকায় প্রবাসীরা আনন্দ প্রকাশ করেন। পর্তুগিজ অতিথিরা লিসবনে বাংলাদেশের স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানান।

লিসবনে বাংলাদেশের আবাসিক দূতাবাস প্রথম স্থাপিত হয় একটি ভাড়া করা ভবনে ২০১২ সালের জুলাইয়ে। বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের স্থায়ী ঠিকানার জন্য দুটি সম্পত্তি কিনেছিল। ২ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর ভিত্তি করে চ্যান্সেরি একটি তিনতলা ভবন। ভবনটির মধ্যে রয়েছে অভ্যর্থনা এলাকা, অডিটোরিয়াম, বঙ্গবন্ধু কর্নার, কনফারেন্স রুম, ডাইনিং রুম, প্রশস্ত প্রদর্শনী কক্ষ, আলাদা প্রবেশদ্বারসহ কনস্যুলার সার্ভিস এলাকা, প্রশস্ত ওয়েটিং রুম এবং ফোয়ারা, অফিস কক্ষ ছাড়াও কর্মকর্তাদের জন্য উপযুক্ত বড় খোলা জায়গা। বড় পাবলিক ইভেন্ট আয়োজন করার সুযোগ। এটি ইউরোপের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যান্সারি ভবনগুলোর একটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন