মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাদকাসক্তদের সুস্থ করতে পরিবারের সাপোর্ট জরুরি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ৮:৫১ পিএম

মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় শুধুমাত্র চিকিৎসক আর কাউন্সিলিং-এর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। পরিবার এবং সামাজিক ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার বা সামজের সাপোর্ট ছাড়া মাদকাসক্তদের সুস্থ করা খুবই দূরহ। মাদকাসক্তদের সুস্থ করতে পরিবারের সাপোর্ট জরুরি। মাদকদ্রব্যেও অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস এবং মনোবৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে শনিবার (২ জুলাই) শেখ রোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের সাইকোলজি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাউসার বিপ্লব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুদ হোসেন, স্থপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহমান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ এইচ এম মনিরুজ্জোহা।

অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাউসার বিপ্লব বলেন, মাদকের বিষয়ে অপব্যবহার যেটা বলা হচ্ছে আসলে এটা মেডিকেলে ব্যবহার হচ্ছে। যদি কেউ এই মাদকে নির্ভর হয়ে পরে তবে এই নির্ভরতা হচ্ছে আসক্তি। মাদকাসক্তিতে কাদের ঝুকি বেশি এ বিষয়ে তিনি বলেন, ১৬ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে কেউ যদি মাদকের ওপর নির্ভর হয়ে পরে তবে তার মদকে আসক্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩০ থেকে ৪০ বছরের মাদকাসক্ত হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় শুধুমাত্র চিকিৎসক আর কাউন্সিলিং-এর ওপর নির্ভর করলে চলবে না। পরিবার এবং সামাজিক ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামজ বা পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া সুস্থ হওয়া খুবই দূরহ।

অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাউসার বলেন, সাইকিয়াট্রি পেশায় যারা এসেছেন তারা কাজ করার মানসিকতা নিয়েই এসেছেন। কারণ এইখানে অর্থ উপার্যনের জন্য কেউ আসেন না। কিন্তু সাইকিয়াট্রি চিকিৎসকদের অনেকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্লতায় দেখেন। অনেকে আবার পাগলের ডাক্তারও বলেন। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, সাইকিয়াট্রিস্টরা রোগীদের ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখেন। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। মানসিক রোগীদের যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে একই ওষুধ কিন্তু বিদেশেও দেওয়া হচ্ছে।

মেহের আফরোজ শাওন তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। আমার ছোট ছেলের বয়স যখন ৬ বছর। তখনই তার মধ্যে কিছু ছোট ছোট জিনিস লক্ষ্য করলাম যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে একটু সচেতন হওয়া উচিৎ। আমি ৬ বছরের শিশুকেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে নিয়ে গিয়েছি। আমার মনে হয়েছে, বয়সের কিছু বিষয় আছে যা আমরা সাধারণ ভাবে বুঝতে পারি না। বিশেষজ্ঞের সাহায্যে সেই জনিসগুলোকে খেয়াল রাখা। কী কারণে তার রাগ হচ্ছে, অভিমান হচ্ছে, মনে কষ্ট হচ্ছে, জোরে কথা বলছে, রাগ হলে জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে, এই বিষয়গুলো তার ভেতর থেকে কথা বলে বের করে আনা। এটা আসলে সব বয়সের মানুষের খুব দরকার।’

মেহের আফরোজ আরও বলেন, আমরা উন্নতদেশগুলোতে দেখি প্রতিটি স্কুলেই একজন মনোবিশেষজ্ঞ থাকেন। যারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করেন এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে জেনে সেই শিক্ষার্থীদের শৈশব থেকেই তাদের মানসিক জগতটা যেন উজ্জল থাকে সেই ব্যবস্থা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন