শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গরুর লাম্পি স্কিন রোগ আতঙ্কে খামারিরা

মশা, মাছি, আঠালীর মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রকার গরুর মাঝে। প্রতিদিন নতুন নতুন গরু আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে খামারিসহ কৃষক ও কিষাণীরা। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে গরু মালিকদের মাঝে। একদিকে গো-খাদ্যর সংকট অন্য দিকে লাম্পি স্কিন রোগে দিশেহারা খামারিরা। ঔষধ ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে প্রাণি সম্পদ অধিদফতর। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস জানায়, ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় প্রায় ৪লাখ গরু রয়েছে। এর মাঝে সরকারি রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত খামার রয়েছে ৮৮টি এছাড়াও রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া খামার রয়েছে প্রায় ৩০০। এছাড়াও গ্রামের কৃষক ও কিষাণীর বাড়ি বাড়ি রয়েছে দুধের গাভী ও বাছুর ও ষাঁড় গরু। ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিক্রির উদ্দেশ্যে অনেক গরু প্রস্তুত করছেন তারা। কিন্তু লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়ায় ঈদ বাজারে এর প্রভাব পরবে বলে তাদের ধারণা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন লাম্পি স্কিন ভাইরাস জনিত চর্মরোগ যা মশা মাছির মাধ্যমে এ রোগ এক পশু থেকে আরেক পশুতে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় এর কোন ঔষধ না থাকলেও বর্তমানে রয়েছে। সরকারি ভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে এ এই ঔষধ।
উপজেলার দড়িপাঁচাশি গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান, তার ৪টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলো পরে এই রোগের ঔষধ ব্যবহার করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ রোগ সেড়ে উঠতে অনেক সময় লাগে যে কারনে এখনও এ রোগ নিয়ে ভয় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবছর গরুগুলো রেখেছেন ঈদে বিক্রি করার জন্য। তবে লাম্পি স্কিন রোগে যে ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে এমন হলে তো গরু কেউ কিনবে না। এজন্য এ রোগ নিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্ক কাজ করছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু হানিফ ইনকিলাবকে জানান, আমি নতুন এসেছি আসার পর দেখেতে পেলাম এ রোগে আক্রান্ত প্রতিদিন প্রায় ৫০টির বেশি গরু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। এছাড়াও অল্প সময়ে যতটুকু জানতে পেরেছি কিছুদিন আগে এরোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লেও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি ভাবে এ রোগের ঔষধ দেওয়ার পাশাপাশি খামারিসহ কৃষক কিষাণীদের সতর্ক করা হচ্ছে। তবে এ রোগে ঈদে কোন রকম প্রভাব পড়বে না।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন