স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শুধু নারীদের কর্মক্ষেত্রে আনাই মূল বিষয় নয়, কর্মক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের জন্য নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করাই মূখ্য বিষয়। এর মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে রোকেয়া হল আ্যলামনাই এসোসিয়েশনের চতুর্থ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
স্পীকার বলেন, রোকেয়া হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নারীদের সফল অগ্রযাত্রার অংশীদার। তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কাজ করার মাধ্যমে অবদান রেখে চলেছেন যা আমাদের সমাজ বিনির্মাণ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখছে। শুধু শিক্ষা নয়, শিক্ষার পাশাপাশি যে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করলে নারীরা এগিয়ে যাবে সে সকল ক্ষেত্রে তাদের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীদের বিশেষভাবে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। স্পীকার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার অবদানের প্রশংসা করে বলেন, মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নারীদের উন্নয়নে প্রয়োজন শিক্ষার। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে বাংলাদেশে নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি নারীদের কল্যাণে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহŸান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। এ নারীরা আজ দেশের জনশক্তির পাশাপাশি শ্রমশক্তি। তারা দেশের অগ্রযাত্রার সফল অংশীদার। তাই এই শ্রমশক্তি ও জনশক্তিকে বাদ দিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। নারীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার আহŸান জানান এবং জাতীয় সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রোকেয়া হল আ্যলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম এবং রোকেয়া হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। এর আগে স্পীকার অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছলে তাঁকে রোকেয়া হল আ্যলামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানান এবং তাঁকে ক্রেস্ট প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন