রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য ৪৫৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। গত বছর থেকে ২১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করে বাজেট পাশ করা হয়েছে। এবছর মূল বাজেটের ৩৩৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে বরাদ্দ এবং বাকি ২২ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত বলে জানা গেছে।
সোমবার (৪ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ বাজেট অনুমোদিত হয়।
অনুমোদিত এ আবর্তক বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, প্রকাশনা, বই পত্র, গবেষণাগার সরঞ্জামাদি, স্মার্ট ক্লাসরুম, ফিল্ডওয়ার্ক/ শিক্ষা সফর, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা ও শিক্ষাবৃত্তিসহ ১০ খাত অগ্রাধীকার পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে গবেষণা খাতে ৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ২ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রকাশনা খাতে ২০২১-২২ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ৫০ লক্ষ টাকা হলেও ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে ১৬টি স্মার্ট ক্লাস রুমের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তাছাড়া ২০২১-২২ অর্থ বছরে ফিল্ড ওয়ার্ক /শিক্ষা সফর খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৮০ লক্ষ টাকা করা হয়। আবার শিক্ষক, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাবদ ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫২ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। আবার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি/মেধাবৃত্তি খাতে পূর্বের অর্থ বছরের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৪৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু গত বছর বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট আনা হলে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তা অনুমোদিত হয়েছে।
এছাড়া বইপত্র খাতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৬০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তাছাড়া বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরীতে বইপত্র খাতে ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এবারের বাজেটে শিক্ষা, প্রকাশনা ও গবেষণাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতিকে তরান্বিত করবে। তাছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে মনে করেন এ উপাচার্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন