দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপুর্ণ প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে কোরবানীর পশুবাহি ট্রাকের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ঈদ উল আযহা (কোরবানী)’র ঈদের বাঁকী ৫দিন মাত্র। পশুবাহি ট্রাকের চাপ বাড়লেও দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পারছে যানবাহন ও গরুবাহী ট্রাক। এতে খুশি গরুর মালিক, বেপারী ও গাড়ির চালকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়। গাড়ীর সিরিয়াল রয়েছে দৌলতদিয়া তৈলের পাম্প পর্যন্ত। তবে গাড়ী গুলো ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করেই পার হতে পারছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সুত্রে জানাগেছে, বর্তমানে এ রুটে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট বড় ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ৫টি ফেরি অচল হয়ে পড়েছে। ফেরি গুলো মেরামত কাজ করা হচ্ছে।
গরুর বেপারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতিবছর দৌলতদিয়া ঘাটে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ফেরির জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে তীব্র গরমে অনেক গরু গাড়িতে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়াসহ মারাও গেছে। এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কারণে কোন ধরণের দূর্ভোগ ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। এখন সময় মত গরু ঢাকায় নিতে পারছি।
গরুর মালিক নাছের ও আব্দুর রহিম বলেন, তারা কুষ্টিয়া থেকে ২০টি গরু নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে যাচ্ছি। দৌলতদিয়ার রাস্তায় কোন যানজট নেই। গাড়ি সরাসরি ফেরি ঘাটে চলে এসেছে। গত বছরও ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। সময় মত গরু হাটে নিতে না পারায় লোকসান হয়েছে। কিন্তু এবার সঠিক সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌছাতে আর সমস্যা দেখছি না। ভাল দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশাবাদী।
পশুবাহি ট্রাকের চালক মাসুদ রানা বলেন, মেহেরপুর থেকে দুইটি গাড়িতে করে ৩০টি গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। সুন্দর মতো ফেরি ঘাটে চলে এসেছেন। এরআগে কখনও এতো তাড়াতাড়ি তিনি ফেরি ঘাটে আসতে পারেন নাই। ফলে গরু ও তাদের কষ্ট কম হবে। দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে পারবেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি গুলোর নদী পারাপার হতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে দ্বিগুন সময় বেশি লাগছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পশুবাহি ও যাত্রীবাহি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন