মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ, বিপাকে শ্রমজীবি মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২২, ৬:৫০ পিএম

কুড়িগ্রামে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আরও দু-তিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেলে তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন।

তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে করে জেলা জুড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও দু-তিন দিন চলতে পারে।

এই কর্মকর্তা বলেন, 'আগামী ২৪ ঘন্টায় কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।'

তবে এদিকে আবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ এ জেলার মানুষ। গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন বিদ্যুতের এমন আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলায় দূর্বিষহ বেকায়দায় পড়েছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষজন।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের নুরল মিয়া বলেন, দিনে-রাতে বিদ্যুৎ কতবার যায় আসে তার কোন হিসাব নেই, খুব সমস্যা হচ্ছে। আমি অটোরিকশা চালাই রাতে চার্জ হচ্ছে না। এখন গাড়ি চার্জ দেই কখন, আর ভাড়া মারি কখন।

একই এলাকার কম্পিউটার ব্যবসায়ী নুর“ন্নবী বলেন, কারেন্ট ঠিকমত না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে খুব সমস্যা হচ্ছে, একবার গেলে দুই ঘন্টা থাকেনা, আবার আসে অল্প সময়ের জন্য আবার চলে যায়। এভাবে আসা যাওয়া করলে আমরা ব্যবসা করি কি ভাবে।

এদিকে গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে পুরো জেলার মানুষের মাঝে। তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন খেটে-খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। যেসময় বিদ্যুৎ থাকে ফ্যানের বাতাসেও স্বস্তি মিলছে না।

কুড়িগ্রাম পৌরশহরের ফল ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, কয়েকদিন থেকে প্রচুর গরম পড়ছে দোকানে থাকা যাচ্ছে না। ব্যবসা না করলে তো আর চলবে না। যতই গরম হোক না কেন আমার দোকানে থাকতে হবে। তবে বিদ্যুৎ যদি নিয়মিত থাকত তাহলে গরমটা একটু কম বোঝা যেত।

জিয়া বাজার এলাকার কুঠির শিল্পের ব্যবসায়ী মাঈদুল ইসলাম বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমি দু-দিন বিভিন্ন প্রকার মালামাল এখানে বিক্রি করি। এবছর সর্বচ্চ আজ বাঁশের তৈরি ১০০ হাত পাকা বিক্রি করলাম। যা বছরে কোনদিন বিক্রি করতে পারি নাই। যে গরম পড়ছে আসা করছি আরও ৫০টা হাত পাকা বিক্রি করতে পারবো।

এবিষয়ে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাটের আদিতমারি জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামাল বলেন, গ্যাস স্বল্পতা ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে মূলত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এ কারনেই মুলত সারাদেশের মত কুড়িগ্রামেও লোডশেডিং হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন