কোটালিপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় চাকুরীর প্রলভোন দেখিয়ে এক বিধবা মহিলাকে গণ-ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করে। শুক্রবার রাতে ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এস আই জহুরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে মামলার এক নম্বর আসামি দেশবন্ধু বিশ্বাস (৫০) কে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর রাতে উপজেলার ভাঙ্গারহাট শান্তিলতা ক্লিনিক এ্যন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায় গত ১৪ নভেম্বর রাতে উপজেলার নিতাইবাজার গ্রামের মৃত যতিন বৈদ্যের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী কাঞ্চন বৈদ্য (৩২) কে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ভাঙ্গারহাট শান্তিলতা ক্লিনিক এ্যন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেকে এনে লাটেঙ্গা গ্রামের কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাসের ছেলে দেশবন্ধু বিশ্বাস তার ক্লিনিকের ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে একেই গ্রামের কৈলাশ বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাস (২৬) বিবেক বিশ্বাসের ছেলে বিজন বিশ্বাস, প্রফুল্ল বিশ্বাসের ছেলে প্রণব বিশ্বাস ও চিত্ত মন্ডলের ছেলে সুরঞ্জন বিশ্বাস (২৯) মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম জানান এ ব্যাপারে কোটালিপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৫ধারা ২০০৩ এর সংশোধনী ৭/৯(৩)৩০। এক নম্বর আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশবন্ধু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এবং তিনি কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন