গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলা, ঘরে আগুন, পুরোনো বসতবাড়িতে লুটপাট ও সাঁওতাল হত্যার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। মামলায় গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হান্নান, রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আউয়াল, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), নিজেরা করি, এএলআরডি ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাদীপক্ষকে আইনি সহায়তা দিতে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাদের উপস্থিতিতে মামলাটি থানায় তালিকাভুক্ত হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন তদন্ত করে দেখা হবে। যাঁদের নামে মামলা হয়েছে, তদন্তে প্রমাণিত হলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষের ১১ দিন পর ১৬ নভেম্বর সাঁওতালদের পক্ষে একটি মামলা নিয়েছে পুলিশ। স্বপন মুরমু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন এবং গুলিবিদ্ধ হন চারজন। এই সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন