শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

পথশিশুদের ঈদ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

ক্ষুধার জ্বালায় পরিবার ছেড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পারি জমায় ফুটপাত, পার্ক, ট্রেন ও বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট, সরকারি ভবনের নিচে। অজানার পথে পা বাড়ায় তখনই তাদের পরিচয় হয় পথশিশু। এসব পথশিশুকে দেখার কেউ নেই। শিশুরা জন্মের পর তারা পথশিশু থাকে না। দরিদ্রতা, অভাব-অনটন তাদের পথশিশু হতে বাধ্য করে। সামনে ঈদুল আযহা। সবাই আনন্দ করবে, ভালো খাবার খাবে, নতুন জামা পরবে প্রভৃতি আয়োজনের মধ্যে উৎসব পালন করবে। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। কিন্তু পথ শিশুদের এই ঈদ অন্য সাধারণ দিনের মতই একটি দিন। ঈদের উৎসব মুসলিমরা আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেও। উৎসবের কোনো ছোঁয়া পায় না পথ শিশুরা। যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, থাকার কোনো জায়গা নেই, ফুটপাতই যাদের একমাত্র ঠিকানা। তাদের আবার ঈদ উৎসব। তাদের বেলায় ঈদ হয়তো আসে আবার যায়, কিন্তু সেই ঈদ কখনই উৎসব হয়ে আসে না। উসৎব হয় মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের শ্রেণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ যেমন, ঈদের দিন তারা নতুন জামা পরবে, হাতে মেহেদি লাগাবে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে নতুন টাকার সেলামি নেবে, বাসায় ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা থাকবে। তবেই না সেটা উৎসবে পরিণত হবে। পথশিশুরা এই উৎসবে অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ তাদের না আছে নতুন জামা, না আছে ভালো খাবারের ব্যবস্থা। আর হাতে মেহেদি লাগানো এবং নতুন টাকার সেলামি পাওয়া তো স্বপ্নের ব্যাপার। তাদের কাছে ঈদের দিন অন্যান্য দিনগুলোর মতই সাদামাটা। সারাদিন খাটা-খাটুনি করে একবেলা খাবার জোগাড় করা, এটাতো আর ঈদ উৎসব হতে পারে না। পথশিশুরা পরিবার থেকে অনেক দূরে। কারো কারো মার কোলে ঠাঁই মিললেও পেটের আহার যে তাদের মেটে না। বাবা নেই, নিজের চালাতে হয় মাকে। স্বাস্থ্য সচেতনাও নাই তাদের মধ্যে। আর শাসন কি সেটাই তো জানে নানা তারা। এদের জন্য রাষ্ট্রের কিছু করা উচিত। কয়েদিন পর ঈদুল আযহা সবাই আনন্দ করবে। মাংস খাবে কত মজা করবে। কিন্তু তাদের কী হবে এই পবিত্র দিনে। তারাও তো আমাদের মতই মানুষ। তাদের মুখে কি জুটবে ভাল খাবার। আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত পথ শিশুদের পাশে। তারা যেন অন্য দশজন শিশুর মতই ঈদে আনন্দ করতে পারে।

ইমরান হোসাইন
সিরাজগঞ্জ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন