ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুই যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে ১নিহত ও দুই বাসের অন্তত ১৫ আহত হয়েছে। সোমবার (১১ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ডে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গাংচিল পরিবহনের যাত্রী সুমন (১৫)কে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুমন পটুয়াখালী জেলার আলাউদ্দিনের ছেলে। তারা স্ব-পরিবারে বর্তমানে ঢাকার আমিন বাজার এলাকায় বসবাস করে।
স্বাধীন পরিবহনে থাকা আহত যাত্রী ফাহিম (২০) নড়াইল জেলার বাহির গ্রাম এলাকার হিরুক মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাংচিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস নং- ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৬৩৫৯ ঢাকা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা বেজগাঁও বাসট্যান্ডে যাত্রী উঠা নামার জন্য দাঁড়ালে পিছনে মাওয়া গামী স্বাধীন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস নং- ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৮১৯৯ এর চালক দ্রুত গতিতে বাস চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাংচিল পরিবহনকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে বাসের পিছনের অংশ ও স্বাধীনের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং গাংচিল পরিবহনে থাকা ১০জন ও স্বাধীন পরিবহনে থাকা হেলপাড়সহ ৫ জন যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে গাংচিল বাসে চাপা পড়ে থাকা যাত্রী সুমন ও স্বাধীনের যাত্রী ফাহিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহত যাত্রীরা চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীরা আটকা পড়ে থাকে। পরে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণের ফলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আহত ফাহিম বলেন, আমি মিরপুর থেকে বাড়ী উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে স্বাধীন বাসের ইঞ্জিনের সামনে বসি। চালক দ্রুত বাস চালিয়ে দাঁড়ানো থাকা গাংচিল বাসকে মেরে দেয়।
শ্রীনগর ফায়ার স্টেশনের উদ্ধার কর্মী শাহ-আলম বলেন আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন