ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল। এখানে রয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। আছে রাখাইনদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত নানা স্থাপত্য নিদর্শন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো ঈদের লম্বা ছুটি উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটছে পর্যটক। ফেরি বিহীন কুয়াকাটা ভ্রমণে এবারের ঈদে ব্যাপক পর্যটকের ভিড়। তাই কুয়াকাটার একাধিক পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ বুকিং হয়েছে, বুকিং করা পর্যটক ইতিমধ্যে আসতে শুরু করছে বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুত উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি সাগর সৈকতে ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ অবলোকনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না ভ্রমণ পিপাসুরা। পর্যটকদের কুয়াকাটা ভ্রমণের সকল রেকর্ড এবার ছাড়িয়ে যাচ্ছে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে। খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের, ইতিমধ্যেই পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ১৮ কিলোমিটার বেলাভূমি রয়েছে। পর্যটকরা এখানকার নারিকেল বিথী, ফয়েজ মিয়ার বাগান, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্র পথে ফাতরার বন, গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লীও ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে।
কুয়াকাটা অভিজাত হোটেল সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আল আমিন খান উজ্জল জানান, পর্যটক বরণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে তাদের ভিলা এবং রিসোর্টের বেশিরভাগ আগাম রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেক পর্যটকরা রুমের জন্য যোগাযোগ করছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবার ঈদুল আযহার ছুটিতে অগণিত পর্যটকের সমাগম হবে। ইতোমধ্যে হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলোর ৮০ ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবাদানে আমরা সার্বোক্ষনিক প্রস্তুত।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, আগত পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সব মিলিয়ে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে কুয়াকাটা ভ্রমণ করতে পারবে পর্যটকরা।তিনি আরো জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এরাতে ফায়ার সার্ভিসের টিম রয়েছে কুয়াকাটা সৈকতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন