পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকাগামী লঞ্চ গুলোতে নেই কোন বাড়তি যাত্রীর চাপ। প্রতিবছর ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহার ছুটি শেষে যেখানে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়ে সকাল থেকে লঞ্চ ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লঞ্চ ঘাট থাকে মুখরিত। সেখানে আজ বিকেলে লঞ্চ ছাড়ার আগ পর্যন্ত টার্মিনালে তেমন কোন বাড়তি ভিড় দেখা যায়নি।
আজ পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ৫ টি লঞ্চ ছাড়ে। ২ টি বিলাসবহুল লঞ্চ ব্যতীত অন্য লঞ্চগুলোর অধিকাংশ কেবিন ছিল ফাঁকা। এ ছাড়া সব লঞ্চের ডেক ছিল ফাঁকা, যেখানে বড় ধরণের ছুটি শেষে ঢাকা ফেরার পথে বিশেষ করে ডেকে পা ফেলার স্থান থাকে না, সেখানে ডেকে ছিল স্বাভাবিক যাত্রাপথের চেয়ে কম যাত্রী।
সুন্দরবন- ১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মো: ইউনুস জানান, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
এদিকে গতকাল থেকে সড়ক পথে পটুয়াখালী ছাড়ছে অধিকাংশ ঢাকামুখী মানুষ। পটুয়াখালী জেলা শহরের প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে সবকটি উপজেলা থেকে সড়কপথে পরিবহনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
পটুয়াখালী বাসমালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি দুলু মৃধা জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে পটুয়াখালী জেলা থেকে প্রতিদিন সকাল-রাতে মিলে ৯০-১০০ টি বাস রাজধানীতে যায়। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন ১৪০টি পরিবহন ঢাকা যায়, বর্তমানে ঈদের কারণে সড়কপথে ব্যাপক যাত্রীর চাপ থাকায় এ সংখ্যা দেড় শতাধিক ছাড়িয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন