মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নাজেহাল নীলফামারী সৈয়দপুরের মানুষ। তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিয়েছে ঘরে ঘরে। বাজারে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশির ঔষধের সঙ্কট।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ (১৩ জুলালা ) বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরমে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ মাঠে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আবহাওয়ার এই বৈরী আচরণে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে রোগ-বালাই। গত কয়েকদিন ধরে নীলফামারীতে তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে প্রচণ্ড রোদে খাঁ খাঁ করছে চারদিক। সৈয়দপুর উপজেলায় দুপুরবেলা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত রিকশাচালকদের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড রোদের কারণে রিকশায় কেউ উঠছে না। অলস সময় কাটছে তাদের।
অপরদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, এমন আবহওয়ায় হিটস্ট্রোক, চর্মরোগসহ শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
এদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে কয়েকদিন ধরে হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন এ জেলার মানুষ। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে রোপা আমন ধানের চারা উৎপাদনসহ জমি তৈরিতে কৃষি শ্রমিকরা হাপিয়ে উঠেছেন প্রচণ্ড গরমে। প্রখর রোদ আর গরমের কারণে মাঠ ছিল অনেকটাই জনশূন্য। কাজ বাদ দিয়ে জীবন বাঁচাতে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষকে বাঁশঝাড় কিংবা গাছতলায় পাতানো মাচায় বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ হাইয়্যুল কবীর বলেন, হাসপাতালেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝড়ে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি এবং ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের এতে ঝুঁকি থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন