দশ বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকার সুবাদে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় মালয়কন্যা নুর আজিমার। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিনের এ সম্পর্ক অবশেষে পরিণয়ে রূপ নিল। প্রেমের টানে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পা রাখে নুর আজিমা। এরপর লালমাটির প্রত্নতত্ত্ব সম্বৃদ্ধ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ী ইউনিয়নের দিঘলগাঁও গ্রামে প্রেমিক সাইফুলের কাছে ছুটে আসে।
অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মালয়কন্যা নুর আজিমা ও কুমিল্লার সাইফুল ইসলামের বিবাহ সম্পন্ন হয়। আজ বুধবার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন নূর আজিম আর বাবা-মা।
সাইফুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে ব্যবসা করেন।ব্যবসার সুবাদে ওই শহরের বাসিন্দা নূর আজিমার সাথে পরিচয় হয় সাইফুলের। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সম্পর্কের জের ধরে গত সোমবার প্রেমিক সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণী।
প্রেমিক সাইফুল বলেন, নূর আজিমা অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত।সে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমি বলেছি তুমি বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারের সাথে কথা বলো। আমার পরিবার যদি চায় তবে আমি তোমাকে বিয়ে করবো। এরপর সোমবার সে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আমার পরিবার এবং তার পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি। সে বাংলাদেশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সাইফুল আরও জানান (আজ) বুধবার আমাদের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া থেকে আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি উপস্থিত হওয়ায় অনুষ্ঠানটি বেশ আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে এবং আমার স্ত্রী নূর আজিমা তার বাবা মাকে কাছে পেয়ে খুব খুশি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন