বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সিরাজুল ইসলাম নবাব (৩৯) নামে এক খনি শ্রমিক হঠাৎ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে বাইরের শ্রমিকরা সকলে এসে খনির মুল গেটে ভীড় জমায়। পরিবারের লোকজনের আহাজারী লক্ষ্য করা যায়। জানা যায় করোনা শুরুর পর থেকেই কোন শ্রমিককে বাহিরে বের হতে দেওয়া হতোনা। শ্রমিক ফরহাদ হোসেন ও মানিক মিয়া বলেন, “ভিতরের শ্রমিকরা বন্দিদশা জীবন যাপন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ইচ্ছা করলেও কোন প্রয়োজন কিংবা চিকিৎসা নিতে খনির ভিতর থেকে বের হতে পারেন না তারা”। এ নীতিমালা প্রয়োগ করছেন চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শ্রমিক ও আত্মীয়স্বজন সূত্রে বলা হয়েছে জেলখানার জীবন অতিক্রান্তে ঐ শ্রমিক অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ দাবী খনিকর্তৃপক্ষের হয়ে জিএম (প্রশাসন) ছানাউল্লাহ অস্বীকার করে জানান, আসলে হিটস্ট্রোক বা হার্টএ্যাটাকে তার মৃত্যু হতে পারে। মৃত্যুর যথাযথ করাণ জানতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মৃত শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম নবাব খনির সন্নিকটস্থ্য পূর্ব শুকদেবপুর ঘুঘুমারী গ্রামের আহিরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। এ সংবাদ পাঠানো পর্যন্ত মৃতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। সংবাদ পেয়ে হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়্যাম্যান আলহাজ্ব মোঃ রেজাওয়ানুল হক, ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ নজমুল হক খুশি কয়লা খনিতে উপস্থিত হন। খনিতে বর্তমান ৫৫৩ জন বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছে। এবং ৫১৭ জন শ্রমিক বাহিরে রয়েছে। বাহিরের শ্রমিক পরিবার গুলোতে অসন্তোষ ও অভাব অনটনের আহাজারী চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন