সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঢালারপাড় গ্রামে আগুনে পুড়ে বসতভিটা ভস্মীভূত হয়ে গেছে পল্লী চিকিৎসক আলাল মিয়ার। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুই ছেলে সাইমন, শাওন ও স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে নিজ বসতভিটায় থাকতেন আলাল। আগুনে আলালের ঘরের আসবাবের সঙ্গে কষ্টে জমানো নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ থেকে এই আগুন লাগতে পারে। আলাল বলেন, ‘নিজ ঘরেই ওষুধের দোকান ছিল। ওষুধ বিক্রি করে যা পেতাম, সব জমিয়ে রাখতাম। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু আমার ওই কষ্টের টাকা সব পুড়ে গেল। এখন আমার সবকিছু শেষ। থাকব কোথায়, খাব কী, কিছুই জানি না। আগুনে আমার সারা জীবনের কামাই পুড়ে গেছে। সংসারটা ঠিকমতো চলছিল না। তাই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য টাকা জমাইছিলাম। আমার জমানো সব টাকা পুড়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া এখন আর কিছুই নেই।’ এলাকাবাসী জানায়, গভীর রাতে হঠাৎ করে আগুনের ফুলকি দেখে তারা ছুটে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই স্থানীয়রা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে ততক্ষণে বসতবাড়ির সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আলালের জামাতা শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘রাতে বেশ কয়েকবার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। তখন বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী আফসানা ও ছেলে আমিনুলও ওই ঘরে ছিল।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম জানান, আগুন লাগার সময় ঘরের সবাই ঘুমাচ্ছিল। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভাঙে। আলালের ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার। এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন যদি তাদের সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে তারা পুনরায় ঘুরে দাড়াতে পারবে।
কাম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘর মেরামতের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল টিন আলালকে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন