ঈদের ছুটি শেষ। প্রিয়জনের সাথে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে যাত্রীরা। ফলে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। এই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে এক শ্রেণির পরিবহন শ্রমিকরা। এমনিতেই ঈদ শেষে হাত একেবারে খালি এরপর বাড়তি ভাড়া। এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘা। অনেকে ভাড়া সাশ্রয়ের আশায় ঝুঁকি নিয়ে পিক-আপভ্যানে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এ দু’টি ঘাটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ফলে প্রতিটি ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে তিল ধারণের ঠাই নেই। তবে শিবালয় থানা পুলিশ ও পাটুরিয়া ঘাট নৌ-থানা পুলিশের তৎপরতার কারণে ঘাটে কোন যানজট নেই।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের বাড়তি ভাড়া আদায় করা ছাড়া ঘাট এলাকায় অন্য কোন ভোগান্তি নেই বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। ঈদের আগে এবং পরে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের যে দীর্ঘ লাইন থাকে এবার আর তা নেই। ফলে ফেরি ঘাট দিয়ে ভোগান্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে। তবে নরমাল বাসে আরিচা ও পাটুরিয়া থেকে নবীনগরের ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা করে আদায় করছে। নিলাচল, পদ্মা লাইন ও সেলফিসহ অন্যান্য পরিবহণ পাটুরিয়া ঘাট থেকে গাবতলীর ১৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বলে জানান ভুক্তভোগী যাত্রীরা। পাবনার আবুল মিয়া বলেন, পরিবারের সাথে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছি। ফেরিতে ৩০ টাকা ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু বাস শ্রমিকরা ১০০ টাকার ভাড়া চাচ্ছে ৩০০ টাকা।
বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম শাহ মুহাম্মদ খালিদ নেওয়াজ বলেন, ফেরিতে এবার গাড়ির চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ছোট গাড়ির চাপ একেবারেই কমে গেছে। তবে ঘাট এলাকায় কোন ভোগান্তি নেই। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। গতকাল পর্যন্ত ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে চারটি পরিবহনকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন